কচুয়ায় ডাকাতি ও গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় আটক ৮
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় বক্সগঞ্জ গ্রামে প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জন ও মাসনিগাছায় গৃহবধু ধর্ষণের ঘটনায় দুইজনসহ মোট আটজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ডাকাতির ঘটনায় আটকৃদের মধ্যে ৪ জন ডাকাত সদস্য ও ২ জন জুয়েলারি ব্যবসায়ী ।
গত সোমবার মধ্যরাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটার পর মঙ্গলবার খোকন নামের এক ডাকাত সদস্যকে আাটক করা হয়।
পরে তার দেয়া তথ্যনুসারে মালামালসহ অন্যান্যদের আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
শনিবার দুপুরে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা আতাউর রহমান ভূঁইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। আটককৃতের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আটককৃত অন্যান্যরা হলেন একই এলাকার জমির হোসেন, মতলব দক্ষিণ উপজেলার খারৈয়া গ্রামের আলমাছ ও কাশিমপুর গ্রামের শামছুল হক।
এছাড়া চাঁদপুর সদরের মহামায়া বাজারের জুয়েলারী ব্যবসায়ী উজ্জ্বল ও তার স্ত্রী নুপুর রায়ের কাছ থেকে ডাকাতি হওয়ায় স্বর্ণের মধ্যে ৬ ভরি স্বর্ণ ও ১১ ভরি রূপা উদ্ধার করা হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ডাকাতি হওয়া ৬ ভরি স্বর্ণ ১১ভরি রূপা উদ্ধার করা হয়। কচুয়া উপজেলার বক্সগঞ্জ গ্রামের মোসলেম মিয়ার গৃহে সোমবার মধ্যরাতে ১৫/২০ জনের অজ্ঞাত মুখোশধারী ডাকাতদল দেশিয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লোকজনের হাত পা বেধেঁ নগদ ২০ হাজার টাকা, ২৫ ভরি স্বর্ণ গহনাসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়।
এ ঘটনায় মোসলেম মিয়ার পুত্রবধু প্রবাসী জসিম উদ্দীনের স্ত্রী তাহমিনা বেগম বাদী হয়ে কচুয়া থানা একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে পৃথক ঘটনায় কচুয়া উপজেলায় বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পনশাহী এলাকার নির্জন বিলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার হয় উপজেলার বড়পাড়া গ্রামের হেলাল মজুমদারের স্ত্রী। সে বাদী হয়ে শুক্রবার বিকালে কচুয়া থানা একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-১৩।
মামলার প্রেক্ষিতে কচুয়া থানার এসআই আবু হানিফ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করে শনিবার চাঁদপুরের জেল হাজতে প্রেরণ করেন। আটককৃতরা হলেন, কচুয়া উপজেলার কালচোঁ গ্রামের মিজান (৪৫) ও মাসনীগাছা গ্রামের নেয়ামত উল্যাহ (৩৫)।