বিদ্যালয়ের মাঝ দিয়ে রাস্তা, ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা
বিদ্যালয়ের মাঠের ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে পাকা রাস্তা। রাস্তাটি দিয়ে দ্রুত গতিতে চলাচল করছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। আর পাকা রাস্তার দুই পাশে রয়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানের শ্রেণিকক্ষ। বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটির মাঝ দিয়ে পাকা সড়ক থাকায় শিক্ষার্থীরা টিফিনের সময় সেখানেই খেলায় মেতে উঠছে। এতে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা।
বলছিলাম রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের হাউলি কেউটিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কথা। ওই বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় আড়াই শতাধিক শিশু শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম ইয়াছিন জানান, প্রতিদিনের অ্যাসেম্বলি ও সমাবেশ এই রাস্তার উপরই করতে হয়। বিদ্যালয়ের বাড়তি কোনো জায়গা না থাকার কারণে শিশুদের নিয়ে এই ঝুঁকিপূর্ণ কাজটি করতে হচ্ছে। বিদ্যালয়ে প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। টিফিন ও ছুটির সময় তারা ছোটাছুটি করে। তাদের সহজে ধরে রাখা যায় না। তারপরেও যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে তাই যতদূর সম্ভব তারা তাদের চোখের নজরে রাখার চেষ্টা করেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আসজাদ হোসেন জানান, দুই পাশে বিদ্যালয়ের ভবন রেখে মাঝ দিয়ে পাকা সড়ক নির্মাণ করাটা মোটেও ঠিক হয়নি। শিশুরা সময় পেলেই রাস্তাটির উপর খেলায় মেতে উঠে। তাছাড়া বিদ্যালয়ের দুই পাশেই ভবন থাকার কারণে শিশুদের শ্রেণিকক্ষে যাওয়ার সময়ও রাস্তা পার হয়ে যেতে হয়। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই তারা শিশুদের নিরাপত্তায় বিদ্যালয় ভবনের পেছন দিয়ে বিকল্প সড়ক তৈরি ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র জানায়, গোয়ালন্দ-রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধের জন্য ২০০৩-২০০৪ অর্থবছরে হাউলি কেউটিল গ্রাম থেকে শুরু করে তিন কিলোমিটার কাটাখালী জিসি টু খানখানাপুর সড়কটি নির্মিত হয়। এ সময়ই বিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে ওই সড়কটি নির্মিত হয়। তবে বিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে সড়ক থাকায় শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই এলাকাবাসী যদি বিদ্যালয়ের পেছন দিকে যে জায়গা রয়েছে সেটি দেয় তাহলে একটি বিকল্প সড়ক তৈরি করা যেতে পারে। তবে এটা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এরই মধ্যে রাস্তাটি আলাদা রেখে বিদ্যালয়ের দুটি ভবনের পাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবায়েত হায়াত শিপলু বার্তা২৪ কে বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সমস্যাটি সমাধানে উদ্যোগ নেয়া হবে।’