হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ৫২ আসামি কারাগারে
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে মতিউর রহমান হত্যা মামলার প্রধান আসামি আরজু মিয়াসহ ৫২ আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।
রোববার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহীনুর আক্তার এই আদেশ প্রদান করেন। কোর্ট ইনস্পেক্টর কাজী কামাল এই সত্যতা নিশ্চিত করেন।
মামলার বরাত দিয়ে কোর্ট ইন্সপেক্টর কাজী কামাল জানান, বানিয়াচং উপজেলার বড়ইউড়ি ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আরজু মিয়া এবং আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ মিয়ার মাঝে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে ২০১৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর সকালে আরজু মিয়ার নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ফরিদ মিয়ার লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়। এ সময় পিটিয়ে হত্যা করা হয় মতিউর রহমানকে। আহত করা হয় অর্ধশতাধিক লোকজনকে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় অন্তত ২০ জনকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতাল এবং সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
ঘটনার ৪দিন পর ১৭ ডিসেম্বর নিহত মতিউরের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে আরজু মিয়াকে প্রধান করে ৭২ জনের বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এফআইআরভুক্ত ৫২ আসামি আদালতে রোববার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিনের আবেদন না-মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আরজু মিয়া ছাড়াও কারাগারে প্রেরিত অন্যান্য আসামিরা হলেন, বানিয়াচং উপজেলার নোয়াগাও গ্রামের রুবেল মিয়া, শিশু মিয়া, সেলিম মিয়া, আশিকুর রহমান, ছায়েদুর মিয়া, শামছু মিয়া, ওবায়দুর মিয়া, আফজল মিয়া, আবু সায়েদ, সাজিদুর রহমান, জসিম মিয়া, কাদির মিয়া, ছাব্বির মিয়া, সামায়ুন মিয়া, স্বাধীন মিয়া, রবুজ মিয়া, মিতু মিয়া, নূর উদ্দিন, মতিউর মিয়া, জাবেদ মিয়া, হেলাল উদ্দিন, ছালিম উদ্দিন, হোসেন মিয়া, রাকিব মিয়া, মফিকুর রহমান, রোহান মিয়া, সোহাগ মিয়া, হাছান উদ্দিন, আনহার উদ্দিন, শরীফ উদ্দিন, ছুরত উল্লা, রঙ্গু মিয়া, কাউছার মিয়া, আবিদুর মিয়া, আব্দুর রেজ্জাক, শফিকুল মিয়া, সোহাগ মিয়া, কায়েস মিয়া, রফু মিয়া, জাবেদ মিয়া, সাদ্দাম মিয়া, সাইফুল মিয়া, মজিবুর রহমান ওরফে ফয়জুর, রকিব মিয়া, বাছিত মিয়া, সাইফুর মিয়া, ছাদিক মিয়া, আছকির মিয়া, তাহির মিয়া, কাদির মিয়া ও মজিবুর রহমান।