ইরি-বোরো চাষে আগ্রহী বগুড়ার কৃষক

  • গনেশ দাস, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বগুড়া।
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

মৌসুমের শুরুতেই বগুড়ায় ইরি- চারা রোপনে কৃষকের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে। শ্রমিক সহজলভ্য ও মজুরি কম থাকায় এলাকার খালি জমিতে চারা রোপন শুরু হয়ে গেছে বেশ আগে থেকেই। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে জেলার ১২টি উপজেলায় ১ লাখ ৮০ হাজার ৭৮১ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই তিন হাজার হেক্টর জমিতে চারা রোপনের কাজ শেষ হয়েছে।

সরেজমিনে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, গত আমন মৌসুমে বাম্পার ফলন হলেও  ধানের দাম না পাওয়ায়  কৃষক সেই লোকসান ইরি চাষে পুষিয়ে নিতে চায়। এ কারণে অনেকেই জমি ফেলে না রেখে ইরি ধানের চারা রোপন করছে। বগুড়ার উত্তর এবং পুর্ব অঞ্চলে পুরো দমে ইরি-বোরো চাষ শুরু হলেও দক্ষিণ ও পশ্চিম অঞ্চলে এখনো চাষ শুরু হয় নি। এই অঞ্চলে জমিতে আলু থাকায় ইরি চাষ বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

বিজ্ঞাপন

বার্তা২৪কে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার চন্ডিহারা গ্রামের কৃষক আব্দুল হান্নান জানান, গত আমন মৌসুমে তিনি চার বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলেন। ফলন ভাল হলেও দাম তেমন পাননি। তার পরেও তিনি আশা ছেড়ে দেননি। ওই জমিতে আলু চাষ না করে আগাম ইরি চাষের প্রস্তুতি নিয়েছেন। তিনি জানান, ইতোমধ্যেই চারা বপন কাজ শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আমনের লোকসান এবার পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে তিনি জানান।

চলতি সময়ে মাঠে রবি ফসল ছাড়া তেমন কোন ফসল না থাকায় কৃষিশ্রমিকও সহজ লভ্য। ফলে তুলনা মুলক অনেক মজুরিতে জমিতে চারা রোপনের জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে। শিবগঞ্জ উপজেলার মাঠে চারা রোপনের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, কৃষকের বাড়িতে  সকাল-দুপুরে ভাত খেয়ে ২৫০ টাকায় তারা ইরি-বোরো ধানের চারা রোপনের কাজ করছেন।

বিজ্ঞাপন

মুরাদপুর গ্রামের কৃষক ইসমাইল হোসেন জানান, শ্রমিকের মজুরি এখনও কম রয়েছে।  ১৫ দিন পর শ্রমিকের তা বেড়ে  দুই বেলা খাওয়াসহ দিনে ৩৫০- থেকে ৪০০ টাকা হবে। তার পরেও সময় মত শ্রমিক পাওয়া যাবে না। এ কারণে এখনই চারা রোপনের কাজ শুরু করেছেন কৃষকরা।

বগুড়ার পশ্চিম অঞ্চলের কৃষকরা জানান, তারা আরো ১৫ দিন পর থেকে ইরি-বোরো চাষ শুরু করবেন। কারণ তারা আমন ধান কেটে জমিতে আলু চাষ করেছেন। আলু উত্তোলনের পর তারা ২ দিনও জমি ফেলে রাখবেন না। এবার চারা, সার পানি ছাড়াও অন্যান্য সরঞ্জামের কোন সংকট না থাকায় কৃষক আশা করছেন ইরি-বোরো চাষে তারা বাম্পার ফলন এবং দাম পাবেন।