পারুল হত্যাকাণ্ডের আসামি গ্রেফতার হয়নি
ঢাকার নবাবগঞ্জের বক্সনগর ইউনিয়নের দিঘীরপাড় এলাকায় চাঞ্চল্যকর পারুল হত্যাকাণ্ডের একমাত্র আসামি আক্কাস ফকিরকে ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
গত ১৪ জানুয়ারি সোমবার রাতে ভাড়া বাড়িতে অবস্থান কালে পারুল (৩৮) নামের এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পারুল ঐ গ্রামের মৃত শেখ ফজলুর রহমানের মেয়ে।
১৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার ভোরে এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পারেন। সংবাদ পেয়ে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে।
পারুলের স্বজনদের দাবি, পারুলের স্বামী আক্কাস রাতের আঁধারে বটি দিয়ে পারুলের গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। ঘটনার পর থেকেই আক্কাস পলাতক রয়েছেন বলে জানান তারা।
স্থানীয়রা জানান, পারুলের শ্বশুরবাড়ি উপজেলার বাহ্রা এলাকার মাইলাইল গ্রামে। তিনি ঘুনা ফকিরের ছেলে আক্কাস ফকিরের দ্বিতীয় স্ত্রী। স্বামী সন্তান নিয়ে পারুল বাবার বাড়ি দিঘীরপাড় এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
পারুলের ভাই মো. জুয়েল বলেন, ‘আমার বোন পারুল তার স্বামী ও এক সন্তান পারভেজ (১২)-কে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের এলাকায় ভাড়া থাকতেন। বোন জামাই
একজন মাদকাসক্ত ইয়াবাসেবী। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। সে আমার বোনকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।’
নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) আবুল হোসেন বলেন, ‘দিঘীরপাড় এলাকায় পারুল নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
‘এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই শেখ জুয়েল বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামি আক্কাস ফকিরকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।’