জনতার বাধায় পালিয়ে গেল মাটিখেকোরা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার নবাবগঞ্জের কৈলাইল ইউনিয়নের পাড়াগ্রাম বাজার সংলগ্ন কালীগঙ্গা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করার চেষ্টা করে দুবৃত্তরা। এ সময় স্থানীয় জনতা এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তখন গ্রামবাসীর ধাওয়া খেয়ে ড্রেজার ও পাইপ রেখে পালিয়ে যায় মাটিখেকো দুর্বৃত্তরা।

শনিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।

বিজ্ঞাপন

নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ বার্তা২৪.কমকে জানায়, বালু উত্তোলনের সাথে  জড়িত থাকার অভিযোগে কৈলাইল ইউপি সদস্য মো. সাইদুল ইসলাম ও কথিত সৈনিকলীগ নেতা রমজান আলীর বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর পক্ষে মো. আলী হোসেন নামের এক ব্যক্তি শনিবার দুপুরে নবাবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

মোবাইল ফোনে মো. আলী হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘কালীগঙ্গা নদীতে বালু উত্তোলন করা হলে, পাড়াগ্রাম হাটবাজার, মসজিদ, হাইস্কুলসহ সমগ্র গ্রামটি নদী গর্ভে চলে যাবে। ফলে অসংখ্য মানুষ গৃহহীণ হয়ে পড়বে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘পাড়াগ্রাম একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা। একটি কুচক্রি মহল নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে গ্রামটিকে নদীগর্ভে বিলিন করে দিতে তৎপর রয়েছে।’

এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর নিকট জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান আলী হোসেন।

ঘটনায় অভিযুক্ত কৈলাইল ইউপি সদস্য মো. সাইদুল ইসলামকে তার মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সৈনিকলীগ নেতা রমজান আলী বার্তা২৪.কমকে জানান, ‘এ ঘটনায় আমি জড়িত নই। প্রভাবশালীরা বালু উত্তোলনের সাথে রয়েছেন।’

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বর্তমানে কৈলাইল ইউনিয়নে ফসলি জমির মাটি বিক্রিসহ নদী থেকে বালু উত্তোলনে তৎপর চক্রটি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত।

সদা তৎপর  প্রভাবশালী চিন্থিত এই সিন্ডিকেট চক্রটি যখন যার হাতে ক্ষমতা ও যে দল ক্ষমতায় থাকে সেই দলের নেতাকর্মী পরিচয়ে নদী থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন করে হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিবছর লক্ষকোটি টাকা।

নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. কামরুল হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।