খুঁটিতে বেঁধে এতিম কিশোরকে নির্যাতন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট লক্ষ্মীপুর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেঁধে শিশু মোহাম্মদ নূরকে (বামে) মারধর করছেন জয়নাল আবেদিন (লাঠি হাতে, ডানে)/ ছবি: বার্তা২৪.কম

বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেঁধে শিশু মোহাম্মদ নূরকে (বামে) মারধর করছেন জয়নাল আবেদিন (লাঠি হাতে, ডানে)/ ছবি: বার্তা২৪.কম

যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনে লক্ষ্মীপুরে মোহাম্মদ নূর (১২) নামে এক এতিম কিশোরকে বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতার নাম জয়নাল আবেদিন। তিনি সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে লক্ষ্মীপুর সদরের মান্দারীর বাবলা তলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার নূর একই এলাকার মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে। তার বিধবা মা মালেকা বেগম ভিক্ষা করে সংসার চালান বলে জানা গেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাবলাতলা এলাকার একটি প্রতিবন্ধী শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনে নূরকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল সহ কয়েকজন নূরকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন।

বিজ্ঞাপন

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তার মা মালেকা বেগম থানা থেকে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হতে চাইলে জয়নালের লোকজন তাদের বাধা দেন। এতে শিশুটিকে নিয়ে তার মা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

অভিযোগ করে মালেকা বেগম বলেন, ‘আমি সকালে ভিক্ষা করার জন্য বের হয়ে যাই। বিকালে বাড়িতে ফিরে শুনি জয়নাল সহ কয়েকজন নূরকে পিটিয়ে আহত করেছেন। পরে পুলিশ এসে আমার ছেলেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।’

‘আমি থানায় গিয়ে ছেলেকে নিয়ে আসি। কিন্তু ছেলের চিকিৎসা করার জন্য বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। জয়নাল সহ তার লোকজন বাধা দিচ্ছেন।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবেদিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।  

জানতে চাইলে মান্দারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুজ্জামান বেগ বাবলু বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। ঘটনাটি জানার চেষ্টা করছি।’

এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়াসীম বলেন, ‘শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। পরে চিকিৎসার জন্য তার মায়ের দায়িত্বে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’