সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি
রাস্তার অনেকটা জায়গাজুড়ে রয়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো। পাশ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলে গাড়ি। এতে যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। এই দৃশ্যগুলো সিলেট টিলাগড়-আম্বরখানা সড়কের। ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচলের দৃশ্য সবার চোখে পড়লেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
সিলেটের ব্যস্ততম সড়কের অন্যতম একটি টিলাগড়-আম্বরখানা সড়ক। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, টিলাগড় ইকোপার্ক, ঐতিহ্যবাহী সিলেট সরকারি এমসি কলেজ, সিলেট সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের অন্যতম যাতায়াতের সড়ক এটি।
এছাড়াও সড়কের দুই পাশে রয়েছে স্কলার্স হোমের দুটি ক্যাম্পাস, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, ইনস্টিটিউ অব হেলথ টেকনোলজিস্ট, বক্ষব্যধি হাসপাতাল, চক্ষু হাসপাতাল, ঐতিহ্যবাহী শাহী ঈদগাহ. ইলেকট্রিক সাপ্লাই, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম, সিলেট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন হাজারো লোকজন যাতায়াত করেন এই সড়ক দিয়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, টিলাগড় পয়েন্ট থেকে সড়কটি প্রশস্তকরণ হলেও এখনো বিদ্যুতের খুঁটি রয়ে গেছে রাস্তার অনেকটা মাঝখানে। বিভিন্ন পয়েন্টে খুঁটি আগের জায়গায় রেখেই রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, এই খুঁটিগুলে বেশ কিছু দিন ধরে এই জায়গাতেই রয়েছে। এমসি কলেজ হোস্টেলের বিপরীতে মাঠের সামনে ও বালুচর পয়েন্ট পেরিয়ে আরামবাগ আবাসিক এলাকার সামনে বিভিন্ন পয়েন্টে সড়কের মোড়ে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে খুঁটিগুলো।
আম্বরখানা-টিলাগড় রোডের সিএনজি অটোরিক্সা চালক আব্দুল হাসিম জানান, তারা বারবার বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে খুঁটিগুলো সরানোর দাবি জানালেও কেউ গুরুত্ব দিচ্ছেন না। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় তাদের গাড়ি চালাতে হয়।
সিলেট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ঋতেষ বড়ুয়া জানান, টিলাগড়-আম্বরখনা সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ। সড়কের বিদ্যুতের খুঁটি অনেকট সড়কের মধ্যে পড়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘জেলা সমন্বয় সভায় বিষয়টি উত্থাপন হয়েছে। সেখানে বিদ্যুৎ বিভাগ খুঁটিগুলো সরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে। এখন তারাই কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে ভালো বলতে পারবে।’
বিদ্যুৎ বিক্রয় বিতরণ বিভাগ সিলেট-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী পারেভজ আহমেদ বলেন, ‘ঐ সড়কে পাঁচটি খুঁটি ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় ছিলো। স্থানান্তরে কাজ শুরু করে দিয়েছি। পাশে খুঁটি বসানো হয়েছে। এখন কেবল বিদ্যুতের লাইন টেনে আগের খুঁটিগুলো তুলে ফেলতে হবে।’