মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের জন্য চালককে হত্যা, গ্রেফতার ১
ময়মনসিংহে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত মোটরসাইকেল চালক 'মেহেদী হাসান গোলাপ' হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও ঘটনায় জড়িত মূল আসামি ইমরান মিয়াকে (২৩) গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বুধবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলার সোহাগীহদর এলাকার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালামের একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসান গোলাপ (২৮) মোটরসাইকেল ভাড়ায় চালিয়ে সংসার চালাত। কিছুদিন আগে সে একটি নতুন মোটরসাইকেল কিনে আনে।
গত ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলার হুগলা বাজার থেকে দুইজন যাত্রী তারাকান্দা যাওয়ার কথা বলে তার মোটরসাইকেলে উঠে। পরে তারা ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার চিক বিল নামক হাওর এলাকার মাঝখানে যাওয়ার পর জোর করে মোটরসাইকেল থামিয়ে ছিনতাই করার চেষ্টা করলে গোলাপ বাঁধা দেয়।
এক পর্যায়ে তারা তাকে পেটে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারীরা। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
পরে মোটরসাইকেল চালককে আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৩ জানুয়ারি তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় তারাকান্দা থানায় অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হলে জেলা গোয়েন্দা শাখার ওপর মামলার তদন্তভার দেন জেলা পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন।
এক সপ্তাহের মধ্যে মামলার রহস্য উদঘাটন করে মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে নেত্রকোনার পূর্বধলা থেকে মূল হত্যাকারী ইমরানকে গ্রেফতার করে জেলা ডিবি পুলিশ।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। ইমরান জানান, নিহত গোলাপের নতুন মোটরসাইকেলটি ছিনতাই করার জন্য তাদের পূর্ব পরিকল্পনা ছিল।
পরে তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি এবং ছিনতাইকৃত মোবাইলসেট উদ্ধার করা হয়।