উপজেলা নির্বাচন: মন জয় করেছে মনি

  • আব্দুস সালাম আরিফ,পটুয়াখালী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অ্যাড.তারিকুজ্জামান মনি

অ্যাড.তারিকুজ্জামান মনি

সারাদেশে চলছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া। ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন।

উপজেলা পর্যায়ে তৃণমূল থেকে ভোটের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করা হয়েছে। পটুয়াখালী সদর উপজেলায়ও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে তিন জন প্রার্থীর নাম কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে পাঠানোর হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন চেয়ারমান পদে অ্যাড.তারিকুজ্জামান মনি, আবুল কালাম মৃধা এবং অ্যাড.গোলাম সরোয়ার। তৃণমূল আওয়ামী লীগের ভোটের ভিত্তিতে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভোটে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর অওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তারিকুজ্জামান মনি ১৭৬ ভোট পেয়ে হয়েছেন প্রথম। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম মৃধা পেয়েছেন ১৪৪ ভোট এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড.গোলাম সরোয়ার পেয়েছেন ৭২ ভোট।

তৃণমূলের ভোটে তারিকুজ্জামান মনি সর্বাধিক ভোট পাওয়ার পেছনে তার ব্যবহার ও পারিবারিক রাজনীতি যেমন রয়েছে। তেমনি গত পাঁচ বছরে দক্ষতার সাথে উপজেলা পরিষদকে পরিচালনা করার সফলতাকেও দেখছে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা।

বিজ্ঞাপন

পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড.শাহজাহান মিয়ার মেঝ পুত্র তারিকুজ্জামান মনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ২য় মেয়াদে মনি’র পিতা এমপি না থাকলে এ অঞ্চলে দলের হাল ধরে রেখেছেন তিনি। তার আন্তরিক ব্যবহারে সবাইকে মুগ্ধ করেছেন। তাইতো তৃণমূলে বিপুল ভোটে তিনি প্রথম হয়েছেন। নেতাকর্মীরা বলছেন ‘মন জয় করেছে মনি’।

এ কারণে পটুয়াখালী সদর উপজেলায় আবারও চেয়ারম্যান হিসেবে তারিকুজ্জামান মনিকে বিজয়ী করতে চায় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটাররা।

এদিকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মনি তৃণমূল ভোটে প্রথম হয়েছে। ২য় হয়েছেন সদর উপজেলার আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান পারভেজ এবং তৃতীয় হয়েছেন সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সোহেল। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যন সোহানা হোসেন মিকি প্রথম হয়েছেন।

তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দাবি, তাদের ভোটে যারা নির্বাচিত হয়েছেন দল থেকে যেন তাদেরকেই মনোনয়ন দেয়া হয়। এতে তৃণমূলের মতামতকে মূল্যায়ন ও সন্মান জানানো হবে।