হবিগঞ্জে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার সংকট
হবিগঞ্জে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারের সংকট দেখা দিয়েছে। মিটারের আশায় প্রতিদিন অসংখ্য গ্রাহক বিদ্যুত অফিসে ধরনা দিচ্ছেন। কিন্তু বিদ্যুৎ প্রিপেইড মিটার সংকট থাকায় হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে গ্রাহকদের।
জানা যায়, ভৌতিক বিল বন্ধ, বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয় ও রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারা দেশে প্রিপেমেন্ট প্রজেক্ট গ্রহণ করে সরকার। এর আওতায় হবিগঞ্জে ২০১৭ সালের মার্চ মাসে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হয়। কার্ড পেতে বিড়ম্বনাসহ নানা কারণে জটিলতা দেখা দেয়ায় এ নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। ফলে আন্দোলনের মুখে স্থগিত করা হয় প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম। কিন্তু গ্রামীণফোন ও ব্যাংকের বিদ্যুৎ অফিসে বুথের মাধ্যমে বিদ্যুৎ রিচার্জ করা সহজলভ্য হওয়ায় দিন দিন প্রিপেইড মিটারের দিকে গ্রাহকরা আকৃষ্ট হচ্ছেন।
হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিক্রয় বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত হবিগঞ্জে বিদ্যুতের গ্রাহকের সংখ্যা ছিল- ৩১ হাজার ২৬৩জন। এরমধ্যে ২৫ হাজার ৮৩৫টি আবাসিক, ৪ হাজার ১১৯টি বাণিজ্যিক, ৪৭২টি শিল্প, ৫৭টি সেচ ও মসজিদ-মন্দিরে ১৭৪টি সংযোগ রয়েছে।
ওই সময়ে মোট ১৩ হাজার ৯০০ প্রিপেইড মিটার সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রিপেইড মিটার সংযোগের জন্য আবেদন পড়েছে ৪৩৪টি।
সূত্র জানায়, প্রতিদিনই গ্রাহকরা প্রিপেইড মিটারের জন্য আবেদন করছেন। কিন্তু মিটার সরবরাহ না থাকায় শুধু মাত্র নুতন সংযোগ গ্রহণকারিদের এই মিটার বরাদ্দ করা হচ্ছে। প্রথম দিকে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অসন্তোষ দেখা দেওযায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার হবিগঞ্জের জন্য বরাদ্দকৃত ৭ হাজার মিটার চট্টগ্রামে নিয়ে যায়।
হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিক্রয় বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বিরেশ্বর সাহা জানান, প্রিপেমেন্ট প্রজেক্ট কেন্দ্রীয়ভাবে মিটারের জন্য দরপত্র আহবান করেছে। আশা করছি দু’একমাসের মধ্যে আবারো পুরনো গ্রাহকদের প্রিপেইড মিটার দিতে পারব।
উল্লেখ্য, হবিগঞ্জে গ্রীষ্মকালে ১৫ মেগাওযাট ও শীতকালে ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে।