সৈয়দপুরে দম্পতি হত্যা: নৈশপ্রহরীর দায় স্বীকার

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নীলফামারী, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নৈশপ্রহরী আব্দুর রাজ্জাক, ছবি: বার্তা২৪.কম

নৈশপ্রহরী আব্দুর রাজ্জাক, ছবি: বার্তা২৪.কম

সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামে নিজস্ব পশুখামারে নজরুল-সালমা দম্পতি খুনের ঘটনার দায় স্বীকার করেছে নৈশপ্রহরী আব্দুর রাজ্জাক।

'মালিক নজরুল ইসলাম ও সালমা বেগম ঠিক মতো বেতন ও ছুটি কাটাতে দিতো না। নারী ঘটিত একটি বিষয় নিয়ে সর্বদাই সন্দেহের চোখে দেখত। যা নিয়ে বিচার-সালিশি বৈঠক হয়েছিল। ঘটনার রাতেও ওই দম্পতির সাথে বিভিন্ন বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়।' এরই জের ধরে ওই খুনের ঘটনাটি ঘটিয়েছেন বলে জবানবন্দিতে জানায় নৈশ প্রহরী আব্দুর রাজ্জাক।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুলিশ নৈশপ্রহরী রাজ্জাককে হাজির করলে সে বিচারকের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) অশোক কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'খুনি আব্দুর রাজ্জাক(৪০) ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট এলাকার খয়রাত হোসেনের ছেলে। নিজের দোষ ঢাকতে নিজের গায়েও ছুরি দিয়ে দু-একটা পোঁছ দিয়ে গুরুতর আহত হবার ভান করে সে। ঘটনার পর থেকেই আমরা তার জড়িত থাকার বিষয়টি অনুধাবন করতে পারছিলাম। তার আচরণে বিষয়টি স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে।'

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য যে, গত ২৭ জানুয়ারি সকালে খাতামুধুপুরের বালাপাড়া গ্রামের লিজ নেয়া নিজ পশুখামার থেকে সৈয়দপুর শহরের বাঙ্গালীপুর নিজপাড়ার বাসিন্দা, সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক কর্মচারী নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সালমা বেগমের জবাই করা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ সময় পুলিশ গুরুতর আহত ওই খামারের নৈশপ্রহরী আব্দুর রাজ্জাককে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল ভর্তি করে। চিকিৎসায় সুস্থ হওয়ার পর পুলিশ মঙ্গলবার তাকে খুনের দায়ে গ্রেফতার করে। পরে আদালতে হাজির করলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।