গ্রামেও ফুটবে ভালোবাসার ফুল..
গতকাল ছিল পহেলা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। শীতের আমেজ কাটিয়ে বসন্ত এখন বাংলার ঘরে ঘরে। বসন্তের উন্মাদনায় মেতে উঠেছে সারা বাংলা। আর বসন্তের প্রথম প্রহর শেষ হতেই চলে এসেছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস।
ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে তরুণ-তরুণীরা মেতে উঠবে হৃদয়ের স্পন্দনে। তবে শুধু শহর কেন্দ্রিকই নয়, দিবসটি ঘিরে বাংলার গ্রামাঞ্চলেও ফুটবে ভালোবাসার রঙিন ফুল। ভালোবাসা দিবসে তাদের প্রিয়জনকে শুভেচ্ছা জানাতে পিছিয়ে থাকবে না গ্রামের তরুণ-তরুণীরাও।
ভালোবাসা দিবসটিকে ঘিরে রাজবাড়ীর পাঁচ উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও এখন সাজ সাজ রব। গ্রামের মোড়ে সিজনাল ব্যবসায়িরা ফুলের দোকান দিয়ে বসে গেছে। বসন্ত এবং ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে ফুলের দোকানীরা এখন বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। ছোট ছোট বালতির মধ্যে পানি রেখে তার মধ্যে বাহারি রঙের ফুল সাজিয়ে তারা আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন ক্রেতাদের।
বালিয়াকান্দি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সন্ধি কালেকশনের স্বত্বাধিকারি স্বপ্না ঘোষ বার্তা২৪.কমকে জানান, জাতীয় দিবসগুলো ছাড়াও প্রতি বছরই ফুলের দোকান দেন তিনি। বিশেষ করে ঋতুরাজ বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসকে মাথায় রেখে যশোর থেকে বেশ কয়েক দিন আগেই বিভিন্ন প্রজাতির ফুল এনে সংরক্ষণ করেন। যেহেতু গ্রামাঞ্চলে ফুল বিক্রি করা হয়, তাই এবার প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো ফুল এনেছেন তিনি এবং আশা করছে সব ফুলই বিক্রি হয়ে যাবে।
ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে আরেক সিজেনাল ফুল বিক্রেতা বালিয়াকান্দি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী অনিক সিকদার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বসন্ত ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে বেশ ভালো ফুল বিক্রি হয়। তাই আমি পড়া-লেখার পাশাপাশি এবার ফুল বিক্রি করছি’।
সে জানায়, একটি গোলাপ ফুল পহেলা ফাল্গুনের জন্য ৩০ টাকা আর ভালোবাসা দিবসের জন্য ৫০-৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হবে। শুধু গোলাপই নয় তার কাছে প্রায় ৭-৮ প্রজাতির রঙিন ফুলও রয়েছে।
তবে এই ফুল বিক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, প্রতি বছরের তুলনায় এ বছর ফুলের দাম অনেক বেশি। তাই এবারে লাভ না লোকসান হবে, তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছেনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রেমিক যুগল বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ জীবনের থেকেও যাকে বেশি ভালোবাসি, সেই মানুষটিকে স্পেশাল ডে তে একটি ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাবো না তা কি হয়। একটি ফুলের যত দামই হোকনা কেন প্রিয় মানুষটির জন্য অবশ্যই ফুল কিনবো। তার জন্য আলাদাভাবে বরাদ্দ করা রয়েছে’।
তবে এসময় একটু অভিযোগের সুরে বলেন, ‘আমাদের ভালোবাসার অনুভূতিকে জিম্মি করে কিছু কিছু ফুল বিক্রেতা অতিরিক্ত ফুলের দাম চেয়ে বসে থাকেন। উপায়ন্তর না পেয়ে লজ্জা-শরম ফেলে সেই দামেই ফুল কিনতে হয়’।