ডায়মন্ড আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
বিএডিসি শ্রীমঙ্গল জোনের আওতায় হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরে ডায়মন্ড আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এতে খুশি আলু চাষিসহ বিএডিসির কর্মকর্তারা। এ বছর সামান্য জমিতে চাষ করলেও ভাল ফলন হওয়ায় আগামীতে ব্যপক পরিসরে ডায়মন্ড আলু চাষের পরিকল্পনা করছেন কৃষকরা।
জানা যায়, আলু চাষের দিক থেকে বিশ্বের ৮ম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতি বছর বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে আলুর বাম্পার ফলন হয়।
একাধিকবার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক আব্দুল বাছির (বদু মিয়া) এবং ইব্রাহিম মিয়া হরিণখোলা ব্লকের ২৪ একর জমিতে ডায়মন্ড আলু চাষ করেছেন। এ আলু চাষে সফলতাও পেয়েছেন দুই কৃষক। ওই ব্লকে ডায়মন্ড আলুর বাম্পার ফলন পাওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। প্রতি একর জমিতে ৯ থেকে ১০ টন আলু উৎপাদনের আশা করছেন বিএডিসি কর্তৃপক্ষ।
এর জন্য আলু চাষের পূর্বে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ চলতি মৌসুমে চাষীদের প্রশিক্ষণ, উন্নতমানের বীজ সরবরাহ ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করেছিল। এখানে উৎপাদিত আলু চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি বিএডিসির শ্রীমঙ্গল জোন সংরক্ষণ করবে।
বিএডিসির মডেল কৃষক আব্দুল বাছির বদু মিয়া বার্তা২৪.কমকে জানান, এবার ডায়মন্ড জাতের আলুর বাম্পার ফলন হওয়ায় এলাকার অন্যান্য কৃষকরাও এই আলু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। বিএডিসি কর্তৃপক্ষ উৎপদিত আলুর মূল্য সঠিক সময়ে কৃষকদেরকে পরিশোধ করলে কৃষকরা উপকৃত হবেন।
কৃষক ইব্রাহিম মিয়া জানান, এ জাতের আলুর বীজ রোপণের মাত্র ৮০ দিনের মধ্যে আলু উৎপাদন করা যায়। সময় কম লাগায় এবং ফলনেও ভাল হওয়ায় এ জাতের আলু চাষে কৃষকদের আগ্রহও বাড়ছে।
খামারের তত্বাবধায়ক রুবেল মিয়া জানান, ডায়মণ্ড আলু ফলনে ভাল হওয়ায় কৃষকদের এ জাতের আলু চাষে আগ্রহ বাড়ছে। এই খামারে প্রতিদিন প্রায় ৬০-৭০ নারী পুরুষ ২০০ টাকা হাজিরায় জীবিকা নির্বাহ করছেন।
বিএডিসির শ্রীমঙ্গল জোনের আলু বীজ হিমাগারের অতিরিক্ত মহা ব্যবস্থাপক আলমগীর মিয়া জানান, প্রতি একরে ৯ থেকে ১০ টন আলু উৎপাদনের আশা করা যাচ্ছে। হল্যান্ড থেকে আলু আমদানি না করে বিএডিসি টিস্যু কালচারের মাধ্যমে উৎপাদিত ভাইরাসমুক্ত রোগবালাইবিহীন বীজ কৃষকদেরকে সরবারহ করা হয়েছে। যার ফলে দেশে এখন আলুর ভাল ফলন হচ্ছে।’
বিএডিসি কর্তৃপক্ষ উৎপাদিত আলু সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে হিমাগারে সংরক্ষণ করবে বলেও জানান তিনি।