বাসায় একা থাকতে চেয়েছিল মিমু, কিন্তু কেন?

  • মনিরুজ্জামান বাবলু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: প্রতীকী

ছবি: প্রতীকী

আজ শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে মেঘনা এক্সপ্রেসে করে চট্টগ্রামে যাওয়ার কথা ছিল আবু তাসনি মিমুর। কিন্তু চলে গেল না ফেরার দেশে। শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে নানার বাসায় বসে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় দশম শ্রেণির এই শিক্ষার্থী।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভার টোরাগড় কাজী বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ রাতেই মিমুর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। শনিবার দুপুরে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

বিজ্ঞাপন

মিমু কচুয়া উপজেলার আশরাফপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মিয়াজী বাড়ির মৃত আব্দুল মতিনের বড় মেয়ে এবং হাজিগঞ্জ পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

মিমুর মামা কাজী বাবলু বলেন, ‘মিমু ও আমার মা-বাবাকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাব বলে শুক্রবার বিকেলে ট্রেনের টিকিট কিনে এনেছি। কিন্তু রাতে মিমু চট্টগ্রামে যাবে না বলে জানায়। মিমু বাসায় একা থাকতে চেয়েছিল। এ নিয়ে তার নানির সঙ্গে রাগারাগি হয়। পরে দরজা লাগিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে মিমু।’

বিজ্ঞাপন

এদিকে মিমুর চাচাতো ভাই শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মিমুকে হত্যা করা হয়েছে। তার মামা নিজে বাসায় থেকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করেছে। ময়নাতদন্ত করে সঠিক বিচার চাই।’

কান্নাজড়িত কণ্ঠে মিমুর মা বলেন, ‘আমার দেয়া জামাটা গায়ে দিয়ে মিমু পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে। আমার কপালে সুখ হলো না। স্বামী নেই, এখন বড় মেয়েও নেই। আমার আরও দুই মেয়ে আছে। অভাবের তাড়নায় বড় মেয়েকে বাবার বাড়িতে পড়াশোনা করানোর জন্য দিয়েছিলাম। কারো প্রতি কোনো অভিযোগ নেই।’

হাজিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুর রশিদ বলেন, ‘মিমুর লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। মিমু একটি নাম্বারে তার নানির মোবাইল থেকে কথা বলত। আমরা তদন্ত করছি সে কী কারণে চট্টগ্রামে না গিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।