নিরাপদ সড়কের দাবিতে পাবনায় মেডিকেল শিক্ষার্থীদের অবরোধ
সড়ক দুর্ঘটনায় পাবনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী তানিজা হায়দারের মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ করেছেন নিহতের সহপাঠীরা। এতে জড়িতদের বিচার, ক্ষতিপূরণ আদায় ও সড়ক নিরাপত্তা আইন কঠোরভাবে প্রয়োগের দাবিতে অবরোধ, প্রতিবাদ সভা ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করেছেন তারা।
শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ‘পাবনা মেডিকেল কলেজ পরিবার’ শীর্ষক ব্যানারে জেলার বাস টার্মিনালের তিনমাথা মোড়ে পাবনা-ঢাকা ও পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে ঘণ্টাব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশে ডা. মাহফুজ নয়ন, ডা. অদ্বিতীয় দে, ডা. ইউসুফ আলী. ডা. এ আর রন প্রমুখ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন। পরে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন।
এ সময় ছয় দফা দাবি জানান বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো-
১. ইজিবাইক চালক ও ট্রাক চালককে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
২. দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে।
৩. জবাবদিহিতা ও শাস্তি, মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধের আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে।
৪. মহাসড়ক ব্যাতিত অন্য সড়কের ক্ষেত্রে অদক্ষ কোনো ব্যক্তি যেন ইজিবাইক চালাতে না পারে সে ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকতে হবে।
৫. ঘাতক ক্রিসেন্ট-প্রিমিয়ার সিমেন্ট কোম্পানির সকল যানবাহন পাবনার রাস্তায় চলাচল নিষিদ্ধ করতে হবে।
৬. জনসচেতনতায় পাবনার বাইপাস-টার্মিনাল সংলগ্ন চত্বরের নাম ‘তানিজা হায়দার চত্বর’ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বন্ধুর সাথে মোটরবাইকে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন পাবনা মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের (৯ম ব্যাচ) ছাত্রী তানিজা হায়দার (২২)। পাবনা কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এলাকায় সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাক পেছন থেকে তাদের ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। গুরুতর আহত হন তানিজার বন্ধু। নিহত তানিজা রাজশাহীর লীপুরের সাম্মাক হায়দারের মেয়ে।