গোপালগঞ্জে সাঁকো তৈরি এলাকাবাসীর

  • মোঃ মাসুদুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, গোপালগঞ্জ, বার্তা২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নিজ উদ্যোগে সাঁকো তৈরি করেছেন এলাকাবাসী, ছবি: বার্তা২৪

নিজ উদ্যোগে সাঁকো তৈরি করেছেন এলাকাবাসী, ছবি: বার্তা২৪

স্বাধীনতার ৪৭ বছর পার হলেও গোপালগঞ্জের মধুমতি বাওড়ে একটি ব্রিজের অভাবে ভুগছে কাশিয়ানীর রাতইল ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। সরকারি উদ্যোগ না থাকায় অবশেষে এলাকাবাসীর উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনগণকে নৌকায় মধুমতি বাওড় পার হয়ে হাট-বাজার, ব্যাংক, অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে হয়। তবে সড়ক পথে যাতায়াত করতে হলে প্রায় ১২ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়। অথচ দুই উপজেলার এলাকাবাসী সংযোগস্থল মধুমতি বাওড় পার হয়েই খুব অল্প সময়ে বৃহত্তম পশুরহাট পরানপুর বাজার ও রাতইল ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়াত করতে পারে। তাই রাতইল ইউপির ৯নং ওয়ার্ড সদস্য রিজাউল মোল্যার তত্ত্বাবধানে সাঁকোটি নির্মাণ করায় মানুষের দীর্ঘদিনের দূর্ভোগ লাঘব হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এলাকার মোস্তফা মিনা বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা নৌকায় বাওড় পার হয়ে কাশিয়ানী সদরে যাতায়াত করে আসছি। পারাপারের এ দূর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে আমরা সম্মিলিতভাবে অর্থ ও বাঁশ তুলে মধুমতি বাওড়ের উপর সাঁকোটি তৈরি করেছি। এতে দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের দূর্ভোগ লাঘব হয়েছে। ইউপি সদস্য মো. রিজাউল মোল্যা বলেন, স্থানীয়দের সহায়তায় মধুমতি বাওড়ের উপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। এতে দীর্ঘ ৪৭ বছরের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে ।

রাতইল ইউপি চেয়ারম্যান বি, এম হারুন অর রশিদ (পিনু) জানান, স্থানীয়দের নিজস্ব উদ্যোগে বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়েছে। এ খাতে কোন বরাদ্দ না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন আর্থিক সহযোগিতা করা সম্ভব হয়নি। তবে তিনি এলাকাবাসীকে স্বাগত জানান।

বিজ্ঞাপন

কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এস.এম মাঈন উদ্দিন বলেন, আমি এলাকাবাসীর উদ্যোগে সাঁকো নির্মাণের বিষয়টি শুনেছি। এই মহৎ কাজের সাথে জড়িতদের সাধুবাদ জানাই।