বাংলাদেশে কোরআনের আদলে প্রথম ভাস্কর্য
মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআনের আদলে ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায়। ঢাকার চারুকলা ইনস্টিটিউটের মেধাবী ছাত্র ভাস্কর কামরুল হাসান শিপন এ ভাস্কর্যটি ডিজাইন করেন।
এদিকে ভাস্কর্যটি নির্মাণ হওয়ায় এটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার সাধারণ লোকজন। এর আগে বাংলাদেশে আর কেউ এ রকম ভাস্কর্য নির্মাণ করেনি বলে জানা যায়। কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েলের তত্ত্বাবধানে কোরআনের আদলে এ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌর এলাকার ব্যস্ততম কদমতলা মোড়ে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছে। উন্নতমানের গ্লাস ফাইবার দ্বারা তৈরি নান্দনিক ভাস্কর্যটির উচ্চতা ১৬ ফিট এবং প্রস্থ ৮ ফিট। এটি তৈরিতে প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কদমতলা মোড়ে নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম কোরআনের ভাস্কর্যটি দেখতে সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ভিড় করছেন বিভিন্ন স্থান থেকে আগত লোকজন।
কসবা পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েলের সার্বিক দিক নির্দেশনায় ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে এডিবির অর্থায়নে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রকল্পের প্রারম্ভিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৫১৬ টাকা। ১ জুন এই প্রকল্পের কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সান কমিউনিকেশন। মেয়র এমরানের দিক নির্দেশনায় এ ভাস্কর্যটি ডিজাইন করেন ঢাকার চারুকলা ইনস্টিটিউটের মেধাবী ছাত্র কামরুল হাসান শিপন।
ব্যতিক্রমধর্মী এই ভাস্কর্য নির্মাণ সংশ্লিষ্টরা সব মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। দেশের আলেম সমাজও তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। পাশিপাশি এই ভাস্কর্যটি যেন কোনো ভাবেই অবহেলিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
দর্শনার্থী মো. ইকবাল হোসেন জানান, এই ভাস্কর্যটি মানুষের মনে ইসলাম বোধ সৃষ্টি করবে।
কসবা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. কামরুল হাসান জানান, পৌর এলাকায় ভাস্কর্যটির কাজ প্রায় শেষের দিকে। এটি সম্পূর্ণভাবে এডিবির অর্থায়নে করা। এটি তৈরি করতে গিয়ে যেন কোনো ত্রুটি না থাকে সেই বিষয়টি মাথায় রেখে তারা কাজ করছেন। ভাস্কর্যটি সম্পূর্ণ শেষ করতে ৬ লাখ টাকা লেগেছে।
কসবা পৌরসভার মেয়র মো. এমরান উদ্দিন জুয়েল বলেন, ‘মুসলমান হিসেবে আমাদের কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই এই ভাস্কর্যটি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়াও কসবা পৌর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় আরও কিছু ভাস্কর্য ও ফোয়ারা নির্মাণ করা হচ্ছে।’