বিএনপি নেতার মনোনয়ন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি নেতা মাফতুন আহম্মেদ রুবেলের মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। এ সময় বাধা দিতে গেলে বিএনপির এই নেতাকে মারধর করা হয়।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর বিএনপি নেতা রুবেল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আড়াই ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে থাকেন। বিকাল সাড়ে ৫টায় তিনি পুলিশ প্রহরায় বাসায় ফিরে যান।
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেল বার্তা২৪.কমকে জানান, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী তার পিছু নেন। তাদের গতিবিধি বুঝতে পেরে তিনি দ্রুত রিটার্নিং অফিসারের কক্ষে প্রবেশ করেন।
ঐ কক্ষের মধ্যেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার হাত থেকে মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে রুবেলের সাথে থাকা নেতাকর্মীদের সাথে ছাত্রলীগ নেতাদের ধস্তাধস্তি শুরু হলে তিনি রিটার্নিং অফিসারের হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এক পর্যায়ে রিটার্নিং অফিসারের কক্ষের সামনে বারান্দায় রুবেলের সাথে আসা সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক আপেল মাহমুদ, শহর বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক আতিকুল ইসলাম ও নুনগোলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলামকে বেদম মারধর করা হয়।
রিটার্নিং অফিসার এ দৃশ্য দেখে পুলিশ ডাকেন। পুলিশ পৌঁছলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখান থেকে বের হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান নেন। ফলে রুবেল অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মাফতুন আহম্মেদ রুবেল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বের হলে পুলিশ প্রহরায় তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না, সেটা প্রতিপক্ষ প্রার্থীও জানেন। কিন্তু জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে আমি মনোনয়ন জমা দিতে এসেছি। এখানে রিটার্নিং অফিসারের উপস্থিতিতে মনোনয়ন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাসহ যা ঘটেছে আমি লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচনে অংশ নেব না।’
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কর্তব্যরত সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুরুল হক ভুঞা বার্তা২৪.কমকে বলেন ‘দুর্বৃত্তরা মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে- এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। কিন্তু এর আগেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।‘
তিনি বলেন, ‘রুবেলকে কেউ অবরুদ্ধ করে রাখেননি। তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর স্বেচ্ছায় বসে ছিলেন। তার নিরাপত্তার জন্য বাহিরে পুলিশ অবস্থান নিয়েছিল।’
রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রায়হানা ইসলাম বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে হট্টগোল হয়েছে। তবে মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেলের মনোনয়নপত্র জমা হয়েছে।‘