মৌলভীবাজারে বাড়ছে টার্কি খামার
চায়ের রাজধানী খ্যাত মৌলভীবাজারে ২০১৫ সালে শুরু হওয়া টার্কি মুরগি পালনে এখন অনেকেই এগিয়ে এসেছে। এই অঞ্চলে এক সময় শুধু শহরের কিছু সংখ্যক এলাকায় সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ও শখের বসে পালন করা হতো এ জাতের মুরগি। বর্তমানে টার্কি মুরগির ফার্ম করে শহর ছাড়িয়ে গ্রামাঞ্চলে অনেক বেকার যুবক-যুবতী স্বাবলম্বী হয়েছেন এবং টার্কি পালনে অনেকেই উদ্যোগী হচ্ছেন।
জানা যায়, ২০১৫ সালে মৌলভীবাজারে টার্কি জাতের মুরগি পালন শুরু হয়। দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এ জেলায় মাংসের চাহিদা বাড়ায় এসব মুরগি এখন অনেকেই কিনে খাচ্ছেন। গ্রাম-গঞ্জে টার্কি মুরগি প্রতি কেজি ৪শ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে।
স্থানীয় খামারিরা জানান, ৩-৪ মাস যত্নসহকারে পালন করলে প্রতিটা মুরগি ওজনে ৯-১০ কেজি হয়ে থাকে। বাজার থেকে বাচ্চা মুরগি এনে দেড়-দুই মাস ফিড খাইয়ে একটু বড় করলে পরবর্তীতে গ্রামাঞ্চলের সবুজ ঘাস খেয়ে এরা বড় হয়ে ওঠে।
মৌলভীবাজার জেলার অন্যতম বৃহৎ হাওর কাউয়াদিঘী অঞ্চলের রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের আব্দুল হাকিম, রাহুল দাশ, আব্দুল খালিক, সামু আহমদ, তারেক আহমদ, ইমাদ ও আলম আহমদ শখের বসে টার্কি মুরগি পালন শুরু করেন। বর্তমানে এটি তারা বাণিজ্যিকভাবে পালন করছেন।
টার্কি খামারি আলম আহমদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘প্রথমে আমি এক মাস বয়সী ১৬টি টার্কি বাচ্চা কিনে পালন শুরু করি। এখন প্রতিটার ওজন প্রায় সাড়ে চার কেজি। এগুলো বিক্রি করে ফের কিনে পালন করব।’
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, টার্কি মুরগি বিদেশি প্রজাতির একটি পাখি। বাংলাদেশে এই টার্কি মুরগির চাষ শুরু হয় ২০১০ সালে। টার্কি মুরগির রোগবালাই অন্যান্য প্রাণির চেয়ে কম হয়ে থাকে। একটি টার্কি মুরগির ওজন হয়ে থাকে ৮ থেকে ৯ কেজি। একটি টার্কি বছরে ১শ থেকে ১২০টি ডিম দিয়ে থাকে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রুহুল আমীন জানান, টার্কি মুরগি পালন করা খুবই সহজ। এদের রোগবালাই কম। এরা ঘাস খেয়ে বড় হয়। এখন সব জায়গায় এ জাতের মুরগি পালন বেড়েছে। এ মুরগির বাজার তৈরি হতে শুরু করেছে। সরকার টার্কি মুরগি পালনে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নিলে তারা খামারিদের পাশে থাকবেন।