সরিষায় স্বপ্ন দেখছে লোকসানে পড়া কৃষকরা

  • জাহিদ পাটোয়ারী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, কুমিল্লা, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

কুমিল্লার মুরাদনগরে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে হলুদ রংয়ের সমারোহ। চারিদিকে সরিষা ফুলে ভরে উঠেছে ফসলের মাঠ। ঋতুর পালাবদলের সঙ্গে বদলে গেছে প্রকৃতির রূপ বৈচিত্র। ফুলের তেমন গন্ধ না ছড়ালেও এর অপরূপ দৃশ্য আকৃষ্ট করছে প্রকৃতিপ্রেমীদের।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষকরা। মুরাদনগর উপজেলায় এবার প্রায় ৫ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়েছে। ধান চাষ করে লোকসানে পড়া কৃষকরা এখন লাভের মুখ দেখতে যাচ্ছে সরিষা আবাদের মাধ্যমে।

বিজ্ঞাপন

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র মতে, ২৪ হাজার হেক্টর চাষাবাদের জমির মধ্যে গত বছর সরিষা চাষ হয়েছিল ৩ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে। এ বছর উপজেলা কৃষি অফিস ৪ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। তবে চাষের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে তা ৫ হাজার ১৮০ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে। এ বছর হেক্টর প্রতি সরিষা উৎপাদন হবে প্রায় ৭-৮ টন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার সরিষা চাষে বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কৃষক আনোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, বিঘা প্রতি ৪-৫ হাজার টাকা খরচ করে অন্তত ৮ মণ সরিষা পাওয়া যাবে। যার বাজার মূল্য হবে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা। কম খরচ ও অল্প দিনের পরিচর্যার মাধ্যমে সরিষা চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া যায়।

বিজ্ঞাপন

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল বার্তা২৪.কমকে জানান, সরকার থেকে এ বছর এক হাজার ৭শ কৃষককে বীজ ও সার প্রণোদনা হিসেবে প্রদান এবং ৪০টি প্রদর্শনী দেয়া হয়েছে। এ বছর কৃষকরা ৫ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ সেবা দিয়েছেন। সরিষা কৃষকের স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি ভোজ্য তেলের ঘাটতি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে এ কর্মকর্তা আশা প্রকাশ করেন।