নদী দখলকারীদের আর ছাড় নয়: নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেছেন, নদী দখল করে স্থাপনা নির্মাণ এবং নদী বিলীন করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। বুড়িগঙ্গা ও কর্ণফুলী নদীর পাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ঘটনাও একটি দৃষ্টান্ত।
শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নীলফামারীর ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের শেওটগাড়ি গ্রামে দেওনাই নদী উদ্ধার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, নদী রক্ষায় যাবতীয় তথ্য প্রদানে একটি হটলাইন চালু করা হচ্ছে, যাতে নদী সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রদান করা যাবে। নদীতে বাঁধা সৃষ্টি করা এবং নদীকে নিরাপদ রাখতে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করবে।
মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ভবিষ্যতে আর কোনো নদী যেন দখল না হয়, এমনকি ব্যক্তিগত কিংবা কোনো গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি হয়ে না পড়ে, সেজন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে নীলফামারীর ‘দেওনাই নদী উদ্ধার’ আন্দোলন।
দেওনাই নদী সুরক্ষা কমিটির আহবায়ক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, প্রবাহমান একটি নদীকে জলাশয় হিসেবে দেখিয়ে সেটি দখল করার পাঁয়তারা চলছিল। অথচ ওই নদীতে হাজার হাজার জেলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত। সবাই ব্যবহার করত কিন্তু একটি চক্র দখলের চেষ্টা করলেও আমাদের আন্দোলনে দেওনাইকে নদী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার।
স্থানীয়রা জানান, ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়ন এবং সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত এই নদীটি। কিন্তু লক্ষ্মীচাপ অংশে সেখানকার কতিপয় ব্যক্তি ওই অংশ দখল করে জলাশয় হিসেবে লিজ নিয়ে মাছ চাষ করার চেষ্টা করে। আমাদের আন্দোলনে সেটি আর বাস্তবায়ন করতে পারেনি তারা। আট কিলোমিটার দেওনাই নদী হিসেবে থাকছে এবং সবাই ব্যবহার করতে পারবে এটি। কারো একক কোনো বিষয় নয়।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক উমর ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওই সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও রিভারইন পিপলস'র পরিচালক ড. তুহিন ওয়াদুদ সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহিনুর আলম, ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতেমা, পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডোমার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ্বনাথ দেব প্রমুখ।