বিপজ্জনক ভ্রাম্যমাণ সিএনজি পাম্প
লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলায় ঝুঁকি নিয়ে ভ্রাম্যমাণ সিএনজি গ্যাস পাম্পের কার্যক্রম চালাচ্ছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। বাখরাবাদ গ্যাসের নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে প্রায় দেড় মাস ধরে চলছে বিপজ্জনক এই ভ্রাম্যমাণ সিএনজি গ্যাস পাম্প।
লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খান এই অবৈধ সিএনজি গ্যাস পাম্পের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভ্রাম্যমাণ প্রক্রিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করতে নোটিশ পাঠিয়েছেন বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের লক্ষীপুর শাখার ব্যবস্থাপক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রামগঞ্জ উপজেলার শিশুপার্ক সংলগ্ন জোড়া কবর নামক স্থানের বিপরীত পাশে একটি কাভার্ড ভ্যান থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। স্থানীয় সাংসদ ও সাবেক পৌর মেয়রের নিকটাত্মীয়রা প্রভাব বিস্তার করে ভ্রাম্যমাণ এই গ্যাস সরবরাহ করে আসছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র বেলাল আহমেদের সম্পত্তি ভাড়া নিয়ে পাঁচ থেকে ছয় জন মিলে ‘স্বদেশ গ্লোরী’ নাম দিয়ে দেদারছে এই গ্যাস সরবরাহ করে আসছেন। স্থানীয় এক রিক্সা চালক বলেন, ‘রামগঞ্জ উপজেলা একতরফা সিদ্ধান্তে চলছে। এখানে রাষ্ট্রীয় নিয়ম-কানুন মানা হয় না।’
জানতে চাইলে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রেজাউল করিম বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ সিএনজি গ্যাস পাম্পের বিষয়টি জেনেছি। কর্ম ব্যস্ততায় যাওয়া হয়নি। আমরা দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।’
বাখরাবাদ গ্যাসের লক্ষ্মীপুর শাখার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ গ্যাস সরবরাহের বিষয়টি অবহিত হওয়ার পরপরই জেলা প্রশাসক, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পরিপত্র জারি করেছি। কী কারণে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, তা জানা নাই।’
কুমিল্লা বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের মাইজদি শাখার উপ-মহা ব্যবস্থাপক মো. সোলেমান বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ এমন গ্যাস সরবরাহের বিষয়টি জেনেছি। এই প্রক্রিয়ায় সিএনজিতে গ্যাস সরবরাহ করা বিপদজ্জনক। গ্যাসের হাইপ্রেসার থাকায় যেকোনো সময় ক্ষেপনাস্ত্রের মতো বিস্ফোরণ হতে পারে। এমন প্রক্রিয়ায় গ্যাস সরবরাহে জনগণের নিরাপত্তা নেই। শিগগির অভিযান পরিচালনা করে তা বন্ধ করা হবে।’