বালিশ নেবেন বালিশ, সাদা তুলার বালিশ
বালিশ নেবেন বালিশ। সাদা তুলার বালিশ। এক দাম ৪শ টাকা। এভাবেই ডেকে ডেকে বালিশ ফেরি করেন নুরুল ইসলাম। বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। প্রতিদিনই বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে এভাবে বালিশ বিক্রি করেন তিনি।
রোববার (৩ মার্চ) সকালে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড সমসেরাবাদ এলাকায় নুরুল ইসলামের দেখা মেলে। এ সময় তার কাঁধে একটি বাঁশের দুই মাথায় রশি দিয়ে ঝুলানো দুইটি বস্তা ও এর ওপর ৪টি বালিশ দেখা গেছে। বস্তার ভেতরে আরও ৫টি বালিশ আছে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, বালিশ বিক্রি করতে নুরুল ইসলাম ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর ও কুমিল্লাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় ঘুরেছেন। পাড়ি দিয়েছেন নাম অজানা অনেক গ্রাম। জীবিকার সন্ধানে অচেনা অজানা জায়গায় তাকে রাত কাটাতে হয়েছে। এখনো অচেনা সব জায়গায় রাত কাটিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বালিশ ফেরি করতে বের হয়ে ঝড়-বৃষ্টির কবলে পড়ে অসহায়ের মতো অনেকের কাছে আশ্রয়ও চেয়েছেন। কোথাও পেয়েছেন, আবার কোথাও পাননি। যেখানে পাননি, সেখানে তাকে স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বারান্দায় আশ্রয় নিতে হয়েছে। অনেকে দলবদ্ধ হয়ে একজন সরদারের অধীনে ব্যবসা করে আসছেন বলে জানান তিনি।
নুরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দা। প্রায় ১০ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে বালিশ বিক্রি করছেন। একটি বালিশ বিক্রি করলে তার ১০০ টাকার মতো লাভ থাকে। একদিনে সর্বোচ্চ তিনি ১০টি বালিশ বিক্রি করতে পেরেছেন।
তিনি আরও জানান, মাঝে মাঝে কাজে বের হয়েও বালিশ বিক্রি করতে পারেন না তিনি। সারাদিন বালিশগুলো বহন করতে তার অনেক কষ্ট হয়। তাই যেদিন বালিশ বিক্রি করতে পারেন না সেদিন খুব কষ্ট পান।