বিছানা রক্তাক্ত, পাওয়া যাচ্ছে না শ্রমিককে
লক্ষ্মীপুরে নুর আলম (৫০) নামে এক নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে। ধারণা করা হচ্ছে, শনিবার (২ মার্চ) রাতে সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড়িশার নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয়।
সকালে লোকজন নুর আলমের বিছানা রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। এদিকে পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর নুর আলমের লাশ গুম করা হয়েছে।
খবর পেয়ে সকালে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লোকমান হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি পরিবারের সদস্য, এলাকাবাসীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন।
জানা গেছে, অপহৃত নুর আলম একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভূঁইয়া বাড়ির মৃত শামছুল হকের ছেলে। তিনি নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন। তিনি রাতে ওই নির্মাণাধীন বাড়ি পাহারা দিতেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, প্রবাসী মমিন গাজীর নির্মাণাধীন বাড়িতে নুর আলম কাজ করেন। শনিবার রাতে তিনি পাশের টিনশেড ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। রোববার (৩ মার্চ) সকালে শ্রমিকরা কাজ করতে এসে তার (নুর আলম) বিছানা রক্তাক্ত অবস্থা এবং কাঁথা-কম্বল এলোমেলোভাবে পড়ে থাকতে দেখে।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রথমে তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। আশপাশে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়।
নুর আলমের স্ত্রী শাহনাজ বেগম অভিযোগ, স্বামীর সঙ্গে স্থানীয় শহীদ উল্যা গাজীর ছেলে ইসমাইলের বিরোধ রয়েছে। সে প্রবাসী মমিন গাজীর ভাই। পরিকল্পিতভাবে ইসমাইল তার স্বামীকে হত্যা করে লাশ গুম করে রেখেছে। এ ঘটনায় তিনি স্বামীর সন্ধান ও সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
নির্মাণাধীন বাড়ির মালিক মমিন গাজী বলেন, 'রাতে নুর আলমকে পাহারায় রেখে যাওয়া হয়। সকালে নির্মাণ শ্রমিকরা আমাকে খবর দেয়, তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।'
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লোকমান হোসেন বলেন, 'আশপাশের পুকুর-ডোবাতে নুর আলমকে খোঁজা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে আঘাত করা হয়েছিল। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'