শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে দাপট দেখিয়ে শিক্ষিকা বরখাস্ত

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, ঝালকাঠি, বার্তা২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অভিযুক্ত শিক্ষিকা, ছবি: বার্তা২৪

অভিযুক্ত শিক্ষিকা, ছবি: বার্তা২৪

ঝালকাঠির নলছিটিতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার (টিও) সঙ্গে অশোভন আচরণ ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে এক স্কুল শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

টিও মোহাম্মদ মোজাম্মেলের সুপারিশের প্রেক্ষিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সায়েদুজ্জামান তাকে বরখাস্ত করেন। বরখাস্ত হওয়া সচি আক্তার উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের দক্ষিণ চৌদ্দবুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা এবং নলছিটির সাবেক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) মো. রিয়াজুল ইসলামের স্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, শিক্ষিকা সচি আক্তারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ে সরেজমিনে পরিদর্শনে যান টিও মোহাম্মদ মোজাম্মেল। স্থানীয়দের উপস্থিতিতে তদন্ত কালে তিনি অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ওই শিক্ষিকাকে সতর্ক করেন। এসময় ওই শিক্ষিকা তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। এ ঘটনার পর টিও মোহাম্মদ মোজাম্মেল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন এবং ওই শিক্ষিকার শাস্তির সুপারিশ করেন। এরপর গত ২৮ জানুয়ারি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সায়েদুজ্জামান।

বরখাস্ত হওয়া শিক্ষিকার স্বামী এটিও হওয়ায় বিষয়টি এতোদিন গোপন থাকলেও সোমবার তা জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় হয়।

বিজ্ঞাপন

এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, শিক্ষিকা সচি আক্তার প্রায়ই নির্ধারিত সময়ের পরে স্কুলে আসেন। মাঝে মধ্যে অনুপস্থিতও থাকেন। কিন্তু সচি আক্তারের স্বামী এটিও হওয়ায় এ ব্যাপারে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেও তারা কোন ফল পাননি। বরং অভিযোগকারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন ওই শিক্ষিকা।

এ ব্যাপারে শিক্ষিকা সচি আক্তার বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমার কথা বলার কোনো ইচ্ছা নেই।’

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার (টিও) মোহাম্মদ মোজাম্মেল বলেন, ‘অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে তদন্ত করতে দক্ষিণ চৌদ্দবুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে ওই শিক্ষিকা আমার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’