১১৮ বছর পর নিজ জন্মভূমিতে তীর্থ ভ্রমণে
স্বামী শিবানন্দ। তাঁর বয়স এখন ১২৩ বছর। জন্ম হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার হরিপুর গ্রামে। তবে পাঁচ বছর বয়স থেকে ভারতে বসবাস করছেন তিনি। প্রায় ১১৮ বছর তার জন্মস্থানে তীর্থ ভ্রমণে এসেছেন। মাসব্যাপী ভ্রমণে তিনি শুধু হবিগঞ্জ নয়, সিলেট বিভাগের বিভিন্ন মন্দিরসহ নানা ঐতিহাসিক স্থানে ভ্রমণ করবেন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় তিনি হবিগঞ্জ আসেন। রাত ৮টার দিকে শহরের দিগন্তপাড়া এলাকায় বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ নিখিল ভট্টার্য্যরে বাসায় এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। সেখানে তিনি সাংবাদিকসহ সুশীল সমাজের কাছে নিজের মতবাদ ব্যক্ত করেন।
স্বামী শিবানন্দ বলেন, ‘আমি কখনো হিন্দু-মুসলিম কিংবা জাত-বর্ণের বাছ-বিচার করি না। বাংলাদেশের হিন্দু-মুসলিমের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য অনুকরণীয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আয়ু অনেক কম, কিন্তু বাসনা অনেক বেশি। এ জন্যই আমাদের মধ্যে এত অশান্তি। তবে আমি আশাবাদী, পৃথিবী একদিন শান্তির নীড় হবে।’
সিলেট শ্রীচৈতন্য গবেষণা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মনোজবিকাশ দেবরায় বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ মানুষ হওয়া সত্ত্বেও প্রচারবিমুখ শিবানন্দ সব সময় থেকেছেন প্রচারের বাইরে। বিশ্বের বর্তমানে জীবিত মানুষের মধ্যে বয়স্ক হওয়া সত্ত্বেও গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড কিংবা অন্য কোনো রেকর্ডে নাম নেই তাঁর।’
ভারতীয় পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যমতে, ১৮৯৬ সালের ৮ আগস্ট তিনি হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার হরিপুরে জন্মগ্রহণ করেন। শিবানন্দ ঠাকুরবাণী বংশের দশম পুরুষ তিনি। ১৯০১ সালে তিনি ভারতের নবদ্বীপে স্থায়ীভাবে চলে যান। শিক্ষাজীবনে কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করে লন্ডন থেকে গ্র্যাজুয়েশন ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।