এই নদী দিয়ে চলত লঞ্চ-স্টিমার-জাহাজ



কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, হবিগঞ্জ, বার্তা২৪.কম
এই নদী দিয়ে চলত লঞ্চ-স্টিমার-জাহাজ। ছবি: বার্তা২৪.কম

এই নদী দিয়ে চলত লঞ্চ-স্টিমার-জাহাজ। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ। এক সময় শাখা-প্রশাখাসহ প্রায় ৮শ নদ-নদী বিপুল জলরাশি নিয়ে ২৪ হাজার ১৪০ কিলোমিটার জায়গা দিয়ে প্রবাহিত হতো। কিন্তু কালের বিবর্তন আর নদী শাসনের ফলে কমে গেছে নদ-নদীর পরিমাণ।

তেমনি একটি নদী ‘শাখা বরাক’। হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীতে গিয়ে মিলিত হয়েছে। এক সময় এই নদীর উপরই নির্ভর ছিল নবীগঞ্জ উপজেলার অর্থনৈতিক অবস্থা। জেলেদের মাছ আহরণসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সারাদেশের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল ‘শাখা বরাক’ নদী।

কিন্তু এখন আর সেই অবস্থা নেই। দখল আর দূষণের কবলে পড়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে নদীটি। কিছু অংশে গতিপথ থাকলেও অধিকাংশ অংশে নদীকে খুঁজে পাওয়াই দায়। রাস্তা-ঘাট আর বড় বড় ইমারত তৈরি করা হয়েছে নদীর উপরে। যেসব অংশে নদীর কিছুটা অস্তিত্ব রয়েছে সেখানেও ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা।

নদীটি রক্ষায় আন্দোলন করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার, খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপারসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। কিন্তু বার বার আন্দোলন করেও কোনো ফল পাচ্ছে না তারা। উল্টো বিভিন্ন প্রভাবশালীদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাদেরকে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক সময় ‘শাখা বরাক’ নদী দিয়ে লঞ্চ, স্টিমার, জাহাজ চলাচল করত। নবীগঞ্জ থেকে সুরমা, কুশিয়ারা দিয়ে ভৈরব এসে বিভিন্ন মালামাল আমদানি-রপ্তানি করা হতো। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যমও ছিল এই নদীটি। কিন্তু বর্তমানে এই নদী দিয়ে লঞ্চ-স্টিমার-জাহাজতো দূরের কথা, একটি ছোট নৌকাও যেতে পারে না। কচুরিপানা আর ময়লা-আবর্জনায় ভরপুর থাকায় ঠিকভাবে বৃষ্টির পানিও নিষ্কাশন হতে পারে না।

নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা গ্রামের আব্দুর রশিদ জানান, দখলদারদের কারণে নদীটি আজ অস্তিত্ব সংকটে। অথচ এক সময় এই নদী দিয়ে লঞ্চ, স্টিমারসহ বড় বড় জাহাজ চলাচল করত।

তিনি বলেন, নদীটি দখলমুক্ত ও খনন করা প্রয়োজন। এতে এলাকার পরিবেশ সুন্দর থাকাসহ কৃষকরা জমিতে দেয়ার জন্য পানি সংকট থেকে মুক্তি পাবে।

শাহ তাজউদ্দিন কুরেশী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাকিব আহমেদ বলে, ‘বই পড়ে শাখা বরাক নদী সম্পর্কে জেনেছি। কিন্তু নিজের বাড়ির পাশে নদীটি থাকলেও এর স্বাভাবিক রূপ দেখতে পারিনি।’

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সহ-সভাপতি কবি তাহমিনা বেগম গিনি বলেন, ‘বার বার বাপাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নদীটি রক্ষায় আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। যার ফলে দিন দিন শাখা বরাকসহ দেশের সবগুলো নদ-নদী হারিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘দ্রুত নদীগুলো রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে এক সময় বাংলাদেশে নদীর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।’

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদ বীন-হাসান জানান, গতমাসে এক সভায় শাখা বরাক নদীকে দখলমুক্ত করার কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু উপজেলা নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে দ্রুত অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে বলেও জানান তিনি।

খননের বিষয়ে তিনি জানান, প্রথমে দখল উচ্ছেদ করতে হবে। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে খননের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম জানান, বর্তমানে সরকার নদী খননের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় হবিগঞ্জের ১৪টি নদীর খনন কাজ চলছে। পর্যাক্রমে শাখা বরাক নদীও খনন করা হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;