শিশুরা পেল ফুলের টব

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, পাবনা, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পাবনা সদর উপজেলা পরিষদের কল্যাণে শিশুরা পেল ফুলের টব, ছবি: বার্তা২৪.কম

পাবনা সদর উপজেলা পরিষদের কল্যাণে শিশুরা পেল ফুলের টব, ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নৈতিক দায়িত্ববোধে উদ্দীপ্ত করতে ফুলের টব ও বীজ বিতরণের ব্যতিক্রমী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে পাবনা সদর উপজেলা পরিষদ। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রমে সদর উপজেলার সরকারি-বেসরকারি স্কুলের দশ হাজার শিক্ষার্থীকে একটি করে ফুলের টব ও ফুল গাছের বীজ দেওয়া হয়েছে।

অভিন্ন এ কর্মসূচির আয়োজকদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জনান, প্রতিটি স্কুলের নির্দিষ্ট স্থানে ফুলের টব রেখে তাতে ওই শিক্ষার্থীই রোপণ করছে বীজ। বীজ থেকে চারা উৎপাদন, যত্ন ও ফুল ফোটানো সব কাজ করতে হবে এই শিশুদের। এতে করে শিশুদের মধ্যে প্রকৃতি ও গাছের প্রতি মমত্ববোধ, নিজের কাজ নিজে করার কর্তব্যবোধ এবং স্কুলে আসার প্রতি আগ্রহ বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়নাল আবেদীন জানান, যান্ত্রিক সভ্যতার যুগে শিশুরা প্রকৃতি থেকে ক্রমাগত দূরে সরে যাচ্ছে। শৈশব থেকেই আমরা শিশুদের উপর পড়ার চাপ আর নির্দিষ্ট রুটিনের একঘেঁয়ে জীবনে আটকে ফেলছি। এ কারণেই শিশুদের সঠিক মানসিক বিকাশ ঘটছে না। এ থেকে মুক্তি দিতেই আমাদের এ উদ্যোগ।

পাবনা সদর উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আসলাম হোসাইন বলেন, প্রাথমিক শিক্ষাকে আনন্দময় করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে, উপজেলা প্রশাসনের ফুলের টব ও বীজ বিতরণের এ কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের মধ্যে খুবই সাড়া জাগিয়েছে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/14/1552519355102.jpg

বিজ্ঞাপন

পাবনার ইছামতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে এর বাস্তব প্রমাণও মেলে। স্কুলের বারান্দায় সারি সারি রাখা হয়েছে ফুলের টব, তাতে বীজ বুনেছে শিশুরা। প্রতিটি টবে মালিকের নাম লেখা। ফুলের চারা নিয়ে শিশুদের মাতামাতি দেখে মনে হল, ফুল নয় তারা যেন বুনেছে স্বপ্নের বীজ।

প্রকৃতির সান্নিধ্য ও মাটির কাছাকাছি না থাকায় হাল সময়ের বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিকমত কাজ করে না। অল্পতেই তারা সর্দি, কাশি এবং এলার্জিজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়। মাটি ও চারাগাছ নিয়ে খেলাধুলায় তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে পাশাপাশি প্রকৃতির সংস্পর্শে সঠিকভাবে মানসিক বিকাশ ঘটবে।

পাবনা জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর যান্ত্রিক সভ্যতার যুগে শিশুদের প্রকৃতির সাথে সম্পৃক্ত করার এ উদ্যোগ কৃষিকাজের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি করবে। শিশুদের মধ্যে সবুজায়নের আগ্রহ সৃষ্টি হলে, তারা বাড়িতেও বাগান তৈরিতে উৎসাহিত হবে। সদর উপজেলার এমন উদ্যোগ পর্যায়ক্রমে জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।