বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকার অনশন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, লক্ষ্মীপুর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রেমিকের বাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা রুনা আক্তার, ছবি: বার্তা২৪

প্রেমিকের বাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা রুনা আক্তার, ছবি: বার্তা২৪

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক মো. সজিবের বাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকা রুনা আক্তার আমরণ অনশনে বসেছেন। এরপর থেকে প্রেমিক সজিব পলাতক রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের মিয়াপাড়া এলাকার প্রবাসী আবদুস সহিদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

সন্ধ্যায় ওই বাড়িতে গিয়ে তরুণীকে প্রেমিকের ঘরের সামনে বসে থাকতে দেখা যায়। এ সময় বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশনের কথা জানান তিনি।

এদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে সজিবের পরিবার ও স্থানীয় একটি মহলের বিরুদ্ধে।

বিজ্ঞাপন

সজিব হাজিরহাট ইউনিয়নের চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের মিয়াপাড়া এলাকার আবদুস সহিদের ছেলে ও রুনা একই এলাকার রুহুল আমিনের মেয়ে।

জানতে চাইলে রুনা আক্তার জানান, অভাব অনটনের সংসারের হাল ধরতে তিনি পাঁচ বছর আগে ওমান যান। দুই বছর আগে তিনি বিদেশ থেকে ফিরে আসেন। সজিব তার প্রতিবেশী। প্রায় এক বছর আগে সজিব তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। রাজি না হওয়ায় সে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। বিয়ের প্রলোভনে তারা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এতে তিনি ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। কিন্তু এখন সজিব বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত তিনি সজিবের বাড়িতে আমরণ অনশন করবেন বলে জানান।

তিনি আরও জানান, অনেকেই তার গর্ভের সন্তানকে হত্যা করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। এটা কখনো সম্ভব নয়। সজিব তাকে বিয়ে করতেই হবে। তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন পথ নেই বলে জানান তিনি।

রুনার মা মিনোয়ারা বেগমসহ স্বজনরা জানান, গর্ভের সন্তান হত্যা করে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করছে স্থানীয় একটি মহল ও সজিবের পরিবার। সজিবের সঙ্গে বিয়ের ব্যবস্থা করে এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান চান তারা।

এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাত ৮ টার দিকে সজিবের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন বলেন, 'ঘটনাটি শুনেছি। এ নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'