উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন পৌর মেয়রের ছেলে
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ সম্পাদক তানভীর ইসলাম। তিনি আটঘরিয়া পৌর সভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম রতনের ছেলে।
জানা যায়, ২০১৬ সালের ৪ জুন পৌরসভা নির্বাচনে শহীদুল ইসলাম রতন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এরপর থেকেই পৌরসভাবাসীর জনপ্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। এবার উপজেলাবাসীর জনপ্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব পেয়েছেন তার ছেলে তানভীর ইসলাম।
স্থানীয়রা বলছেন, ছেলে বাবার মুখ উজ্জ্বল করেছে প্রতিটা ক্ষেত্রে। বাবা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হলেও ছেলে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীকের প্রার্থীকে ভোটের মাধ্যমে পরাজিত করেছেন। বাংলাদেশ সরকারের পদমর্যাদার প্রটোকল তালিকার ক্রমবিন্যাস অনুসারে উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রথম শ্রেণির পৌরসভার মেয়রের পদমর্যাদা এক। কিন্তু আয়তন ও কর্মক্ষেত্র অনুযায়ী উপজেলার অবস্থান বৃহৎ। তাছাড়া আটঘরিয়া উপজেলা দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।
তানভীর ইসলামের একাধিক সমর্থকদের সাথে আলাপকালে তারা জানালেন, দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ, সফল জনপ্রতিনিধি, এলাকার মানুষের কাছে যার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তিনি হলেন আটঘরিয়া পৌর মেয়র শহীদুল ইসলাম রতন। তাকে অনুসরণ করেই তারই সুযোগ্য সন্তান প্রতিটা ক্ষেত্রেই বাপকে ছাপিয়ে টপকে উপরে উঠে গেলেন, এতে আমরা আনন্দিত।
সমর্থকরা আরও বলেন, তরুণ প্রজন্ম, তরুণ নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল বলেই সাধারণ ভোটাররা তানভীর ইসলামকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করে তার গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন।
আটঘরিয়ার চায়ের দোকানদার আব্দুর রশিদ বলেন, ‘বাপকা বেটা। বাপে হইছে ভোট না কইরা, আর তার পুলা হইছে ভোটে দাঁড়াইয়া। হুনছি আমাগো মেয়রের চাইতে তানভীর বেটার পদ বড়। বাপবেটা ক্ষমতা লিছে, এখন আমাগো লেগান ভাল কাজ করবি, এটাই হবি তাইন্যা।’
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, উপজেলার নেতৃত্ব প্রদান আর জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের সেবার জন্য বড় দুটি পদ। আর এই পদে কে আসলেন সেটা বিষয় নয়, বিষয় তারা যেন জনগণের কল্যাণে কাজ করেন। অবহেলিত এই জনপদ তাদের দ্বারা যুগোপযোগী, আধুনিকায়ন, পৌরবাসী ও উপজেলাবাসীর দুঃখ, দুর্দশা লাঘবে অগ্রণী ভূমিকায় থাকবেন এমনটাই প্রত্যাশা তাদের কাছে।