চরে মিষ্টি কুমড়ায় পচন রোগ, মুনাফা কমার আশঙ্কা

  • কাজল সরকার ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, হবিগঞ্জ, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পচা মিষ্টি কুমড়া হাতে কৃষক / ছবি: বার্তা২৪

পচা মিষ্টি কুমড়া হাতে কৃষক / ছবি: বার্তা২৪

হবিগঞ্জ শহরের প্রতিরক্ষা বাঁধের কারণে বর্ষা মৌসুমে যে খোয়াই নদী শহরবাসীর আতঙ্ক হয়ে দাঁড়ায়, শুষ্ক মৌসুমে সেই নদীই তীরবর্তী মানুষের মুখে হাসি ফোটায়। কারণ শুষ্ক মৌসুমে খোয়াই নদীর চরে বিভিন্ন সবজি চাষ করে সচ্ছল হয়েছেন অনেকে। বালুচর হওয়ায় গ্রীষ্মকালে এখানে বেশি চাষ হয় মিষ্টি কুমড়া। কৃষকরা প্রতিবছর বাম্পার ফলনও পান। তবে এ বছর পচন রোগ দেখা দেওয়ায় মুনাফা কমার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন করতে খরচ ও পরিশ্রম কম লাগে। এছাড়া চরে বালু থাকায় অতিরিক্ত আগাছা জন্মায় না। মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে সেখানের অনেকেই ভাগ্য পরিবর্তনে সক্ষম হয়েছেন। তবে চলতি বছর মিষ্টি কুমড়ার অনেক গুটি নষ্ট হয়ে গেছে। আবার বড় হওয়ার পরও পচে গেছে। ফলে এ বছর অন্য বছরের তুলনায় কম লাভ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/25/1553517123217.JPG

কৃষদের অভিযোগ, কৃষি অফিস থেকে তাদেরকে কোনো সহযোগিতা করা হয় না। অভিযোগ নিয়ে গেলেও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের লোকজন সেটা সমাধান করেন না।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে খোয়াই নদীর তেঘরিয়া এলাকার কৃষক আবু মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘প্রায় ২০ বছর ধরে আমরা খোয়াই নদীর চরে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে আসছি। কিন্তু এ বছর গুটি পচে যাওয়ায় অন্য বছরের তুলনায় ফলন কম হয়েছে।’

একই এলাকার কৃষক আব্দুল মুতালিব বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘যখন গুটি পচতে শুরু করে তখন আমরা জেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করি। কিন্তু কৃষি অফিসের লোকজন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।’

 https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/25/1553517198336.JPG

মাছুলিয়া এলাকার কৃষক অনোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘প্রতি বছর লাখ টাকার মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করি। তবে সরকারি কোনো সহযোগিতা পাই না। যদি সরকার আমাদের প্রশিক্ষণ ও ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করত তাহলে ফলন আরও বাড়ত।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘খোয়াই নদীর তীরে যারা সবজি চাষ করেন তারা কখনো কোনো কিছুর জন্য আমাদের কাছে আসেনি। তবে অফিস থেকে নিয়মিত কৃষকদের সাথে যোগাযোগ রাখা হয়।’