পড়ালেখা ভালো লাগে না ফাহিমের

  • হাসান মাহমুদ শাকিল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, লক্ষ্মীপুর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পড়ালেখা ছেড়ে আনারস বিক্রি করছেন ১৭ বছরের ফাহিম (দা হাতে আনারস কাটছে)/ ছবি: বার্তা২৪.কম

পড়ালেখা ছেড়ে আনারস বিক্রি করছেন ১৭ বছরের ফাহিম (দা হাতে আনারস কাটছে)/ ছবি: বার্তা২৪.কম

এক বছর আগে এসএসসি পাশ করেছে ফাহিম। কিন্তু সে এইচএসসিতে ভর্তি হয়নি, রাস্তায় ফেরি করে আনারস বিক্রি করে। কারণ হিসেবে ১৭ বছরের এ কিশোর বলছে, পড়ালেখা তার ভালো লাগে না। এজন্য জীবিকার তাগিদে সে ব্যবসায় নেমে পড়েছে। 

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুর শহরের চকবাজার জামে মসজিদের সামনে আনারস ভর্তি ভ্যান ঘিরে দাঁড়িয়ে ছিল কয়েকজন যুবক। 

বিজ্ঞাপন

কাছে গিয়ে দেখা গেছে, বিক্রেতা ফাহিম আনারস কেটে দিচ্ছে আর তারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাচ্ছেন। কেটে দিয়ে একটি আনারস বিক্রি করছে ১৫ টাকা। দিনভর বিভিন্ন দামে আনারস বিক্রি করেছে। ২০০টি আনারসের মধ্যে তার ভ্যানে আর ২৫টির মতো ছিল।

ফাহিম নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার সান্দারকান্দি ইউনিয়নের সান্দারকান্দি গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। তারা তিন ভাই ও দুই বোন। সে ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট। গত বছর স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে সে এসএসসি পাশ করেছে।  

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/30/1553925410668.jpg

জানা গেছে, ফাহিমের বাবা এখন কোনো কাজ করেন না। সংসার চালাতে হয় তার বড় ভাই ও মেঝো ভাইকে। এদিকে পড়ালেখায় মন না থাকায় ফাহিম নিজেই এখন উপার্জন করতে বড় ভাইয়ের সঙ্গে লক্ষ্মীপুর এসেছে। তারা নিজেরাই খাগড়াছড়ি থেকে কলা ও আনারস কিনে এনে বিক্রি করে।

জানতে চাইলে ফাহিম বলে, ‘পড়ালেখা ভালো লাগে না। পারিবারিক সমস্যাও আছে। আবার বেকার থাকতেও খারাপ লাগে। এজন্য বড় ভাইয়ের সঙ্গে কাজে নেমে পড়েছি। প্রায় তিন মাস হয়েছে লক্ষ্মীপুরে কাজ করছি৷ প্রথম দিকে কলা বিক্রি করেছি। গত এক সপ্তাহ ধরে আনারস বিক্রি করছি।’ 

লক্ষ্মীপুরে এসে ব্যবসা করার কারণ জানতে চাইলে ফাহিম বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিভাগের প্রায় প্রত্যেকটি জেলাতেই নরসিংদীর মানুষ বিভিন্ন ফল এনে বিক্রি করে থাকে। তবে বেশিরভাগই ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী। ব্যবসার জন্য এই অঞ্চলটি উপযোগী।’ 

ফাহিম আরও বলে, ‘লক্ষ্মীপুরে আমাদের নরসিংদীর অনেকেই আছেন৷ আমার বড় ভাই অনেক বছর ধরে এখানে ব্যবসা করছেন। তার দেখাদেখি আমিও এসেছি।’ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তারা কয়েকজন মিলে একটি বাসায় ভাড়া থাকেন।