পুরনো সেতুর রড নতুন সেতুতে!
পুরানো সেতুর ইট ভেঙে কণা তৈরি করা হয়। সেই কণা দিয়ে নতুন সেতুর নিচের বেজ ঢালাই শেষ করা হয়। আবার পুরনো সেতুর রডও নতুন সেতুতে ব্যবহারের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এমতাবস্থায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় এলাকাবাসী। এতে নির্মাণ কাজ বিলম্বিত হয়।
বলছিলাম চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের এনায়েতপুর-মালিগাঁও কাশিমপুর সড়কের রাজ নারায়ণ খালের উপর নব-নির্মিত সেতুর কথা। এটি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের আহম্মদপুর বাজারের সেতু বলে পরিচিত।
স্থানীয় বাসিন্দা শেফায়েত উল্ল্যাহ, ডা. ইদ্রিছ, জসিম উদ্দিনসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, পুরনো সেতুটি ভেঙে নতুন সেতুর নিচের বেজ ঢালাইয়ের কাজ মাত্র শেষ হয়েছে। তবে এখনও ঠিকাদার পুরনো সেতুর ইট ও রড নতুন সেতুর কাজের সাথে ব্যবহার করার পাঁয়তারা করছেন।’
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিকল্প ব্যবস্থা না রেখেই সেতুটি করা হচ্ছে। এটি ব্যস্ত সড়ক। এ সড়ক দিয়ে দৈনিক শত শত ছোট বড় যানবাহন চলাচল করে। গত তিন মাস ধরে ধীরগতিতে কাজ চলছে। দুই পাড়ের জনগণের যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন বলা যায়। একটি সরু পথ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার ঘুরে যানবাহন চলছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা শহর হাজীগঞ্জ বাজারে আসতে হলে মোহাম্মদপুর, তারালিয়া, মালিগাঁও, কাশিমপুরের জনগণ পাশ্ববর্তী শাহরাস্তি উপজেলা হয়ে চলাফেরা করতে হয়। আর এতে করে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ চাকুরিজীবী মানুষের সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
চলতি বছরের শুরুতে চাঁদপুরের হায়দার টেড্রার্স নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের বলেন, ‘বিকল্প পথের কোনো স্টেটম্যান্ট নেই। কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে তা আমাদের সাব-কন্টাকটর জানেন। তবে পুরানো সেতুর কোনো মালামাল নতুন সেতুতে ব্যবহার করা হয়নি। যে খবর ছড়িয়েছে তা গুজব ছাড়া কিছু নয়।’
জানতে চাইলে হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আজিজ বলেন, ‘ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। খুব দ্রুত কাজ শেষ হবে। কোনো অনিয়মের লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই তা আমলে নিয়ে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’