চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চালু হবে মেঘনা এক্সপ্রেস-টু
চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রেলপথে চালু হতে যাচ্ছে মেঘনা এক্সপ্রেস-টু। বর্তমানে মেঘনা এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর একটি ট্রেন চালু রয়েছে। বহু বছর ধরে এ ট্রেন সার্ভিসের সেবা পাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। যাত্রীদের আরও সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মেঘনা এক্সপ্রেস-টু চালু করার পরিকল্পনা করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে লাকসাম থেকে চাঁদপুর স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ২০৫ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। যার ফলে এ রেলপথের গতি ৩০ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৬৫ কিলোমিটার গতিতে চলছে। নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত ভ্রমণ হিসেবে ট্রেনে চলাচল অনেকেরই পছন্দ। প্রায় ১শ বছর পর এ রেলপথের উন্নয়ন হওয়ায় নতুন করে ট্রেন বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর রেল বিভাগকে লাভজনক খাত হিসেবে পরিণত করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সেই আলোকে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের উন্নয়ন করার জন্য সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা করেন। যার ফলে এই উন্নয়ন করা সম্ভব হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের লাকসাম-চাঁদপুর রেলপথের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানান, রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী রফিকুল আলম মেঘনা এক্সপ্রেস-টু চালু করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এটি নিয়ে সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে বর্তমান মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিপরীত সময়ে মেঘনা এক্সপ্রেস-টু নামে আরেক আন্তনগর ট্রেন চালু হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে চাঁদপুর স্টেশনের মাস্টার জাফর আলম বলেন, ‘রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ আমার কাছ থেকে মতামত চেয়েছেন। আমি সঠিক মতামত দিয়েছি। তবে পূর্বের মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি ঠিক রাখার জন্যও আমার মতামত রয়েছে। কারণ ওই সময় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য লঞ্চে যাতায়াতে সুবিধা হয়।’
প্রাথমিক সময় নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ভোর ৫টায় চাঁদপুর থেকে মেঘনা এক্সপ্রেস চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ঠিক একই সময় চট্টগ্রাম থেকে মেঘনা এক্সপ্রেস-টু ছেড়ে আসবে চাঁদপুরের উদ্দেশে। বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম থেকে মেঘনা এক্সপ্রেস চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। ঠিক একই সময়ে চাঁদপুর থেকেও মেঘনা এক্সপ্রেস-টু চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।