বাঁচতে চায় স্কুলছাত্র সাব্বির
নাম সাব্বির আহম্মেদ (১৫)। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। বাড়ি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির বহরপুর ইউনিয়নে। স্বপ্ন বড় হয়ে একজন সৎ ও আদর্শ শিক্ষক হবে। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই পড়াশোনা করছিল সে। তবে তার সেই স্বপ্ন পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া’ নামক একটি কঠিন রোগ।
জানা গেছে, সাব্বির আহম্মেদের বাবা ফকরুল ইসলাম একজন দরিদ্র মানুষ। আর এ কারণে অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় তাকে ধুঁকে ধুঁকে মরতে হচ্ছে। একমাত্র সন্তানকে বাঁচানোর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহের জন্য সাব্বিরের মা আজ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
অসুস্থ সাব্বিরের মা সুমাইয়া পারভীন বার্তা২৪.কমকে জানান, তার একমাত্র সন্তান প্রায় দুই বছর ধরে ‘অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া’ রোগে ভুগছে। ২০ দিন পরপর তাকে বি-পজেটিভ রক্ত দিতে হয়। ঢাকা ল্যাব এইড হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শে ভারতের ভেলোরে অবস্থিত সিএমসি হাসপাতালে নেয়া হয় সাব্বিরকে। সেখানের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. রিক্কি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান- সাব্বিরকে বাঁচাতে হলে বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন করতে হবে। তাহলেই সে হয়তো বাঁচবে। আর বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন করতে প্রায় ৪০ লাখ টাকার প্রয়োজন হবে। কিন্তু এতো টাকা তাদের কাছে নেই।
সুমাইয়া পারভীন আরও জানান, ইতোমধ্যে তাদের সব সম্পত্তি বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসা করিয়েছেন। বর্তমানে টাকার অভাবে ভারত থেকে চিকিৎসা না করিয়েই সাব্বিরকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এখন সে বাড়িতে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সাব্বিরকে বাঁচানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী সহ সমাজের বৃত্তবান সকলের কাছে সাহায্যের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
স্কুলছাত্র সাব্বির বলে, ‘আমি বাঁচতে চাই। আমাকে একটু সাহায্য করুন।’
সাহায্য পাঠানোর জন্য বিকাশ নম্বর- ০১৯৮৪-৪০৫৯৫০ অথবা সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর- ২২০২০০১০১২৬৬৪, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, বালিয়াকান্দি শাখা, রাজবাড়ী।