চাটমোহর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

অনুপস্থিত চার চিকিৎসক: দায়সারা বিভাগীয় মামলা



আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, পাবনা, বার্তা২৪.কম
চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ছবি: বার্তা২৪

চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরির নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘ সময় ধরে কর্মস্থলের বাইরে রয়েছেন পাবনার চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চার চিকিৎসক।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, চার চিকিৎসকের কেউ সাত বছর আবার কেউবা নয় বছর ধরে কর্মস্থলে অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিত রয়েছেন। তারা কোথায় আছেন বা কি করছেন এ ব্যাপারে কারো কাছে কোন তথ্য নেই।

তাদের অনুপস্থিতির ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এই চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলাকে অনেকেই দায় সারা বলে আখ্যায়িত করেছেন।

এই চার চিকিৎসক হলেন- সহকারী সার্জন (ইএমও) ডা. অরুন্ধতী কুণ্ডু, সহকারী সার্জন (প্যাথলজিষ্ট) ডা. গুলেতাজকীয়া, সহকারী সার্জন মোছা. আরিফা সুলতানা ও মেডিকেল অফিসার রাশেদুল হক খান।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ডা. অরুন্ধতী কুণ্ডু ২০১২ সালের ১৩ আগস্ট থেকে, ডা. গুলেতাজকীয়া ২০১১ সালের ১লা জুন থেকে, ডা. আরিফা সুলতানা ২০১০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর থেকে এবং ডা. রাশেদুল হক খান ২০১০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে অননুমোদিতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।

সূত্র জানায়, কাগজে কলমে হাসপাতালে তাদের অবস্থান থাকলেও বাস্তবে তারা রয়েছেন অনুপস্থিত। সরকারি চাকরির বিধির কোন নিয়ম কানুন না মেনে ‘নিরুদ্দেশ’ রয়েছেন তারা। তারা অন্য কোন জায়গায় চাকরি নিয়েছেন না বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন এ ব্যাপারে কোন তথ্য নেই কর্তৃপক্ষের কাছে।

এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে শুধু চিঠি চালাচালি করেই দায় সেরেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নেয়া হয়নি তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা। এতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার সাধারণ মানুষ।

জানা যায়, পাবনার চাটমোহর উপজেলায় প্রায় ৪ লাখ লোকের বাস। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি পঞ্চাশ শয্যায় উন্নীত হওয়ার পর এই এলাকার সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিয়ে আশার আলো জাগে।

এলাকাবাসী জানায়, একসময় বেশকিছু চিকিৎসক এই হাসপাতালে যোগদানও করেছিলেন। হটাৎই ছন্দপতন ঘটে। একে একে চিকিৎসকরা ইচ্ছে মতো বদলি নিয়ে অন্যত্র চলে যান। আর এই চারজন চিকিৎসকতো ‘নিরুদ্দেশ’।

এদিকে জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরে ওই চিকিৎসকদের অনুপস্থিতির বিষয়ে চিঠি দিয়েও কোনো সাড়া পাননি স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। বর্তমানে তিনজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে এই হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা। এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন উপজেলার সাধারণ মানুষ। স্বাস্থ্য সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।

এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সবিজুর রহমান জানান, চারজন চিকিৎসক দীর্ঘদিন যাবৎ বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত রয়েছেন। তাদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হয়েছে। অদ্যাবধি কোন সমাধান হয়নি। এর একটা সুরাহা হওয়া দরকার।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পাবনার সিভিল সার্জন একেএম আবু জাফরের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তার মতামত জানা সম্ভব হয়নি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;