বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের এখন সোনালী সময়
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন সোনালী অধ্যায় পার করছে বলে মনে করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন একটি সোনালী অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সিলেট বিভাগ বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি রাজ্যের সঙ্গে সিলেটের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক রয়েছে। এ ব্যবসা বাণিজ্য আরও গতিশীল করতে দুই দেশ একযোগে কাজ করছে। প্রয়োজনীয় স্থানে করা হচ্ছে সীমান্ত হাট।
সিলেটের সঙ্গে ভারতের আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরার সীমান্ত রয়েছে। এই তিন রাজ্যের সঙ্গে সিলেটের ভাষা, সংস্কৃতি ও সামাজিকতায় সুনিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। ফলে প্রয়োজনিতা উপলব্ধি করেই সিলেটে একটি ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। দুই দেশ আরও কাছাকাছি এসে দুই দেশের সামাজিকতা, সংস্কৃতি ও ব্যবসা বাণিজ্যের আরও উন্নয়ন সম্ভব, যোগ করেন রীভা গাঙ্গুলী।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে ভারতীয় অর্থায়নে দুই কোটি ৫৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪০০ টাকা ব্যয়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার তিলকপুর সার্বজনীন পূজা মন্দির ও মণ্ডপের নবনির্মিত দ্বিতল ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন সিলেট বিভাগ ছাড়াও বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে সার্বিক উন্নয়ন ভারত সহায়তা দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও দিয়ে যাবে। এভাবেই দুই দেশ আরও কাছাকাছি আসতে পারবে। সিলেট বিভাগে বহু ভাষাভাষী মানুষের বসবাস। তাদের রয়েছে নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি।
তিলকপুর সার্বজনীন পূজা মন্দির কমিটির সভাপতি ছালিয়া সিংহের সভাপতিত্বে ও মানবিকা সিনহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেটে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার এল কৃষ্ণমূর্তি, কমলগঞ্জের আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল হক বাদশা, কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান, মণিপুরী সমাজকল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন সিনহা।
অনুষ্ঠান শেষে ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশের সম্মানে মণিপুরী শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এসময় ভারতীয় হাই কমিশনার অফিসের কর্মকর্তারাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সকাল সাড়ে ১১টায় ভারতীয় হাইকমিশনার ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে তিলকপুর পূজা মন্দির ও মণ্ডপ ভবন উদ্বোধন করেন।