পাবনায় ৫৯৫ জন চরমপন্থীর আত্মসমর্পণ
অন্ধকারে থাকা অস্বাভাবিক জীবন ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসায় নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থীদের স্বাগত জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
ভিন্ন বিশ্বাসী, ভিন্ন দর্শনে থাকা, ভিন্ন ভাবে জীবন পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েই স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিতের তাগিদে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর কাছে সশস্ত্র অবস্থায় ৫৯৫ জন চরমপন্থী নেতা ও সদস্যরা আত্মসমর্পণ করেন। পাবনার শহীদ আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে পাবনা, টাঙ্গাইল, যশোর, নড়াইল, সাতক্ষীরা, খুলনা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, বগুড়া, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী ও নওগাঁর ৬১৪ জন নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থীর আত্মসমর্পণের কথা ছিল। তবে ৫৯৫ জন আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্মসমর্পণ করেন। আত্মসমর্পণকালে চরমপন্থীরা বিভিন্ন ধরনের ৬৮টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৫৭৫টি দেশীয় অস্ত্র জমা দেয়।
আত্মসমর্পণকালে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘বিগত ১৯৯৯ সালেও আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২ হাজার চরমপন্থী সদস্য আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। আজ যারা আত্মসমর্পণ করেননি, যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা আত্মসমর্পণ করলে তাদেরও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ রয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ-গোয়েন্দা সংস্থা আর আগের মতো নেই। তারা বর্তমানে জলদস্যু, বনসদ্যু, চরমপন্থী, মাদক সন্ত্রাসীদের দমন করতে সক্ষম। যেকোনো ধরনের নাশকতা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নির্মূলে পুলিশ বাহিনী সোচ্চার।’
তিনি বলেন, ‘পাবনার এই অনুষ্ঠানে যে সকল চরমপন্থী আত্মসমর্পণ করলেন, তাদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষিত। তাদের যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।’
পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বিপিএম-পিপিএমের সভাপতিত্বে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন পুলিশের আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।