পটুয়াখালীতে হত্যা মামলা
৫ জনের যাবজ্জীবন এবং ৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের আলোচিত আবুল বাশার হত্যা মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে পটুয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল করিম এই রায় প্রদান করেন। একই মামলায় আরও ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ২০ নভেম্বর বিকেলে মির্জাগঞ্জের কাকরাবুনিয়া এলাকায় চাষযোগ্য জমিতে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে বিরোধ হয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আবুল বাশার মারা যান।
২০০৬ সালের ২১ নভেম্বর নিহত বাশারের চাচাতো ভাই ইউনুস আলী বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ২০০৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ১১ জনকে আসামি করে মির্জাগঞ্জ থানার এসআই মাহবুবুল আলম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলার ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার বিচারক ওই রায় দেন। এতে মো: সাহেব আলী, মো: নিজাম, মো: আনছার, মো: জুয়েল, মো: সোহরাবকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ বছর কারাদণ্ড প্রদান করেছে। এছাড়া মো: মমিন, সুলতান, রীনা ওরফে হেলেনাকে ২ বছর কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আবদুল জব্বারকে ৫ বছর কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড, সোবাহানকে ২ বছর কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড, শাজাহানকে ৫ বছর কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করে আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তদের স্বজনরা মামলার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা সঠিক বিচার পায়নি। সঠিক বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে যাবো আমরা।’
রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এটিশনাল পিপি অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী হাওলাদার এবং সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট মো: হারুন অর রশিদ। আসামি পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মো: শফিকুল ইসলাম।