শতবর্ষী ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষের কারণে কালিমা

  • শাহরিয়ার হাসান, ফয়েজুল ইসলাম, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সোনাগাজী ইসলামীয়া ফাজিল মাদরাসার মূল ফটক, ছবি: বার্তা২৪

সোনাগাজী ইসলামীয়া ফাজিল মাদরাসার মূল ফটক, ছবি: বার্তা২৪

ফেনী সোনাগাজী থেকে: সোনাগাজী ইসলামীয়া ফাজিল মাদরাসা ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ১০২ ধরে এ অঞ্চলের ইসলাম ধর্মীয় জ্ঞান পিপাসুদের শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে হঠাৎ করেই সদ্য বরখাস্ত অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার অপকর্মের কারণে এ অঞ্চলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন এই ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।

এলাকাবাসী বলছে, নুসরাত হত্যাকাণ্ডের মূলে ছিলেন এই অধ্যক্ষ। নিজের অপকর্মের ধামা-চাপা দেয়ার জন্যই তিনি অনুসারীদের দিয়ে এ কাজ করিয়েছেন। এছাড়া তিনি ১০ বছর যাবৎ এখানে শিক্ষকতা করছেন বলেও জানান এলাকাবাসী।

বিজ্ঞাপন

খোদ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ এখানে অধ্যয়নরত ছাত্রীদের নিয়মিতই কু-প্রস্তাব দিয়ে থাকে। এছাড়া যৌন হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড ছিল তার নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। মাদরাসার ছাত্রীদের প্রেমের প্রস্তাব দেয়ার পাশাপাশি স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতেও দ্বিধা করতেন না ষাটোর্ধ্ব অধ্যক্ষ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/11/1554974530168.jpg

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে দেখা যায়, মাদরাসার সিনিয়র ছাত্রীদের মাঝে এই ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। মাদরাসার বহু ছাত্রী তার দ্বারা হয়রানির শিকার হয়েছে বলে জানা যায়।

নাসরিন সুলতানা ফুর্তি নামের এক শিক্ষার্থী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'তিনি (সিরাজ) একবার আমার বুকে হাত দিয়েছিল। আমি এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দ্বারস্থ হই। সাময়িক সুরাহা পেলেও, তার অপকর্ম বন্ধ হয়নি। সে ছোট মেয়েদের থেকে শুরু করে কাউকেই ছাড় দেয় না। সে খুবই খারাপ।'

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/11/1554974546414.jpg

তবে অধ্যক্ষের এই ধরনের কর্মকাণ্ড ধর্মীয় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করেছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাদরাসা কর্মকর্তা জানান।

তিনি জানান, অধ্যক্ষ অফিস সহকারীদের তার কু-কাজের জন্য ব্যবহার করতেন। তাদের দিয়ে ছাত্রীদের ডাকতেন এবং তাদের সাথে অশালীন করতেন।

এই কাণ্ডে মাদরাসার সুনাম কতটা নষ্ট হয়েছে, জানতে চাইলে মোহাম্মদ জিয়াউল হক নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, সুনাম তো নেই! উল্টো ভবিষ্যতে মানুষ এখানে তাদের ছেলে মেয়েদের ভর্তি করাতে চাইবে না।