জরাজীর্ণ সেতুই কয়েক হাজার গ্রামবাসীর ভরসা

  • সাদের হোসেন বুলু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নবাবগঞ্জের এই সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারে না/ ছবি: বার্তা২৪.কম

নবাবগঞ্জের এই সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারে না/ ছবি: বার্তা২৪.কম

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে বান্দুরা সাদাপুর মধ্যপাড়া আঞ্চলিক সড়কে অবস্থিত সেতুটির জরাজীর্ণ অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে। এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে কয়েক হাজার মানুষ। কিন্তু কোনো যানবাহন এই সেতুর ওপর দিয়ে পার হতে পারে না।

সেতুর সংযোগ সড়টিরও বেহাল অবস্থা। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে সংযোগ সড়কের মাটি খালে চলে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত সড়কটি ছোট হয়ে আসছে। ফলে এই সড়ক দিয়ে কোনো পরিবহন যাতায়াত করতে পারছে না।

বিজ্ঞাপন

এলাকাবাসী জানায়, সংযোগ সড়কটির অবস্থা এতই খারাপ যে পায়ে হেঁটে পার হওয়াও কষ্টকর। আর বর্ষাকালে সড়ক দিয়ে পার হতে ভয় পান তারা।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে সাদাপুর মধ্যপাড়া আঞ্চলিক সড়কে অবস্থিত সেতুটির ভিত্তি প্রস্তরের উদ্বোধন করেন তৎকালীন নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  আবুল কালাম আজাদ। সেতুটির নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ডিসিকে এন্টারপ্রাইজ।

বিজ্ঞাপন

এলাকাবাসীর অভিযোগ, অতি নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে সেতুটি নির্মাণ করায় বর্তমানে  সেতুর এই বেহাল দশা।

বান্দুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সামসুল হক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বান্দুরা ইউনিয়নের  অভ্যন্তরীণ সেতু  ও সড়কগুলোর বেহাল অবস্থা চলছে বহু বছর ধরে। স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিরা দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় বর্তমানে এ অবস্থা বিরাজ করছে।’

উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি অ্যাড. জাহিদ হায়দার উজ্জ্বল বলেন, ‘বান্দুরা সাদাপুর মধ্যপাড়া আঞ্চলিক সড়কের সেতুটি খুবই ঝুকিপূর্ণ ও বিপদজনক। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা সেতুটি দিয়ে বিদ্যালয়ে পড়তে যায়। দ্রুত সেতুটি সংস্কার করা  হোক।’

নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিডি) প্রকৌশলী আনোয়ার রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সেতুটির বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে এবং দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানানো হবে।’