বন্দুকযুদ্ধে নিহত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী, অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, চুয়াডাঙ্গা, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে জেলার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রুহুল আমীন (৪৮) নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার সদর উপজেলার উকতো গ্রামে দিবাগত রাত ২টার দিকে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের দুই উপ-পরিদর্শকসহ তিন জন আহত হয়েছে বলে দাবি করছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি শুটারগান, কয়েক রাউন্ড গুলি ও এক বস্তা ফেন্সিডিল উদ্ধার দেখানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

নিহত রুহুল আমীন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার শান্তিপাড়ার মৃত মফিজ উদ্দীনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা অবগত হন, একদল মাদক ব্যবসায়ী উক্ত গ্রামের মধ্য দিয়ে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য পাচার করতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার একটি টহল দল ওই এলাকার একটি বাঁশ বাগানে অবস্থান নেয়।

বিজ্ঞাপন

টহলরত অবস্থায় রাত দুইটার দিকে মাথায় করে বস্তাভর্তি মাদক বহন করা ৭/৮ জনের মাদকব্যবসায়ীর একটি দলকে শনাক্ত করে তারা। এসময় মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপর অতর্কিত গুলি চালায়।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বার্তা২৪.কমকে জানান, ১৫ মিনিট গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটে। এসময় স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে তল্লাশী চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রুহুল আমীনকে। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

পুলিশের ভাষ্য, এ সময় মাদক ব্যবসায়দের গুলিতে আহত হয়েছে পুলিশের উপ-পরিদর্শকসহ তিন পুলিশ সদস্য। একই সাথে ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, দুই রাউন্ড গুলি, দুটি ধারালো হাসুয়া ও এক বস্তা ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান জানান, নিহত রুহুল জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে জেলার বিভিন্ন থানায় ১৬টি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে।