বর্ষার আগেই যমুনা নদীতে ভাঙন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, সিরাজগঞ্জ, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

যমুনায় নদী ভাঙন, ছবি: বার্তা২৪

যমুনায় নদী ভাঙন, ছবি: বার্তা২৪

বর্ষার আগেই যমুনায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে যমুনার পশ্চিম পাড়ে ব্রাক্ষন গ্রাম থেকে হাট পাচিল পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে যমুনা গর্ভে বিলীন হয়েছে অর্ধশত ঘরবাড়ি ও বসতভিটা। কৃষি ও চাষাবাদযোগ্য জমিও বিলীন হচ্ছে যমুনায়।

ভাঙন রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা না নিয়ে এতদিন নিশ্চুপ ছিল পাউবো। মন্ত্রণালয় বা অধিদফতরে শুধু প্রকল্প পাঠানো হয়েছে, এমন বলে দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন পাউবোর প্রকৌশলীরা। তবে সাংবাদিকদের দেয়া খবরের পর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামসহ একদল প্রকৌশলী বুধবার সরেজমিনে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন। তারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, কয়েক বছর থেকেই ভাঙন হচ্ছে এখানে। কিন্তু, সব জেনেও মাথাব্যথা নেই পাউবোর। বর্ষার আগে আকস্মিক ভাঙনের কারণে আতঙ্কে পড়েছেন এলাকাবাসী। ভাঙন রোধে জনপ্রতিনিধিরাসহ পাউবো বার বার আশ্বাস দিলেও কেউই ব্যবস্থা নিতে পারেনি। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এনায়েতপুর কাপড়ের হাট ও থানাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা যমুনায় বিলীন হতে পারে।

পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, এনায়েতপুর হাটের পূর্বপাশে যমুনার ভাঙনের প্রবণতা একটু বেশি। যেহেতু সাড়ে ৬’শ কোটি টাকা ব্যয়ে মূল তীর রক্ষা বাধ প্রকল্প এখনও পাস হয়নি, তাই আপাতত সেখানে প্রায় দু’কিলোমিটার অংশে বালির বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, এনায়েতপুরে ব্রাক্ষণ গ্রাম থেকে হাট পাচিল পর্যন্ত ভাঙন রোধে প্রায় সাড়ে ৬ শত কোটি টাকার একটি তীর রক্ষা প্রকল্প অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটির যথার্থতা যাচাইয়ের জন্য বর্তমানে এটি পরিকল্পনা কমিশনে রয়েছে। প্রকল্পের অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ পেলেই মূল প্রকল্পের মাধ্যমে ভাঙন রক্ষা সম্ভব হবে।