চুয়াডাঙ্গায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, চুয়াডাঙ্গা,বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা, ছবি: বার্তা২৪.কম

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা, ছবি: বার্তা২৪.কম

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাস দিয়ে চুয়াডাঙ্গায় রাজিব (১৮) নামের এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে রাজিব। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে রাজীবের মৃত্যু হয়।

বিজ্ঞাপন

রাজিব দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের ইব্রাহীমপুর গ্রামের মনির উদ্দীনের ছেলে।

রাজীবের পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিজের ফেসবুকে পরিবার, বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন, ভাই-ভাবী সহ সকলের কাছে বিদায় জানিয়ে একটি পোস্ট করেন রাজিব। রাজীবের সেই পোস্টটি তার বড় ভাই দেখা মাত্র বাড়িতে ফোন করে। কিন্তু তার আগেই বিষ পান করেন রাজীব। রাতেই রাজীবের মরদেহ বাড়িতে আনা হয়।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সুকুমার বিশ্বাস জানান, যুবকের আত্মহত্যার বিষয়টি শুনেছেন তিনি।

মৃত্যুর আগে ফেসবুকে রাজীবের দেয়া সেই পোস্টটি লেখা ছিল, 'এটা আমার লাইফের শেষ স্ট্যাটাস। এটা জানি, কথাগুলো শোনার পর অনেকে মানতে পারবে না, আবার অনেকের কাছে ভালো লাগবে শুনে। কিন্তু এটাই হয়ে গেছে সময়ের কাছে বাস্তবতার কাছে। আমি হেরে গেলাম, খুব ইচ্ছে ছিলো আর দশ জনের মতো স্বাভাবিকভাবে জীবন চলানোর, কিন্তু পারলাম না, ডিশিসনটা আমি খুব সহজভাবে নিই নাই। আমাকে বাধ্য হয়ে নিতে হইছে। ডিপ্রেশন আমাকে শেষ করে দিছে। মেন্টালি ফিজিক্যালি কোন ভাবেই আমি ভালো নেই।'

'স্বপ্ন ছিল অনেক, কিন্তু সেটা পূরণ করতে পারলাম না, তার আগেই চলে যেতে হলো। আমাকে মাফ করে দিবেন সবাই, বড় ভাই-ভাবি, মেজো ভাই, ফ্রেন্ডস কারো সাথে যদি কখনো অন্যায় করে থাকি তাহলে ক্ষমা করে দিয়েন সবাই, আর ফ্যামিলির কথা কি বলবো যদিও সবাই ভুলে যাবে, কিন্তু ফ্যামেলি কখনো ভুলবে না। বাবা-মা, ভাই সবাই আমাকে মাফ করে দিয়ো, ভালো থেকো, তোমরা সব সময়। দোস্ত তোরাই আমার লাইফে একটা বেস্ট পার্সোন ছিলি। সবসময় আমাকে সাপোর্ট করতি ভালো উপদেশ দিতি, কিন্তু আমি শুনি নাই, আজকে যদি তোর কথা গুলো শুনতাম তাহলে আর এইদিন দেখতে হতো না আমার। ভালো থাকিস সবসময় নিজের খেয়াল রাখিস আর আমাকে মাফ করে দিস দোস্ত। ভালো থেকো প্রিয় মা-বাবা। ভালো থেকো প্রিয় মানুষ। ক্ষমা করে দিও আমায়...!!'

'সব শেষ একটা কথা বলে যাই আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, ভালো থাকবেন সবাই আল্লাহ হাফেজ।'