আলীকদমের দুর্ঘটনা পরিকল্পিত হত্যা দাবি নিহতের স্ত্রীর

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বান্দরবান, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আলীকদমে জীপের চাপায় এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়/ ছবি: সংগৃহীত

আলীকদমে জীপের চাপায় এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়/ ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানের আলীকদমে জীপের চাপায় এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। তবে ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করছেন নিহত শাহেদুল ইসলামের স্ত্রী নিশাত আক্তার। পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগে আলীকদম থানায় মামলা করতে গেলেও মামলা নেয়নি পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জেলার আলীকদম উপজেলার কলারঝিরি সড়কে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকালে জীপ গাড়ি চাপায় শাহেদুল ইসলাম মারা যান। তিনি লামা উপজেলার বানিয়াছড়া বুড়ি চিকন ঘোনার বাসিন্দা লেদু মিয়ার পুত্র।

বিজ্ঞাপন

নিহতের স্ত্রী নিশাত আক্তার অভিযোগ করে বলছেন, তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শাহেদুলের মৃত্যুর জন্য দায়ী উপজেলার উত্তর পালং পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ নূর, মোহাম্মদ নবী ও তাদের গাড়িচালক মোহাম্মদ সুজন। ঘটনার সময় গাড়ির মালিক মোহাম্মদ নবী গাড়িতেই ছিলেন।

নিশাত জানান, শাহেদুল গাড়ি থেকে নির্মাণ সামগ্রী নামাচ্ছিলেন। গাড়িটি তখন নির্মাণাধীন সড়কের উপরেই ছিল। মোহাম্মদ নবীদের মালিকানাধীন গাড়িটিকে সাইড দিতে দেরি হওয়ায় নূরের কথামত চালক সুজন সজোরে নির্মাণ সামগ্রী বোঝাই গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এতে গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে শাহেদুল মারা যান। কিন্তু পুলিশ শুধু চালকের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুর রহিম ও নাজিম উদ্দীন বলেন, ‘নির্মাণ কাজ করার সময় সড়কটি বন্ধ রাখা হয়। এ সময় ঐ রাস্তা দিয়ে যাওয়া একটি জিপ গাড়ি নির্মাণ সামগ্রী বোঝাই পিকআপ ভ্যানকে সাইট দিতে বলে। একপর্যায়ে জিপের মালিক মোহাম্মদ নবীর নির্দেশে ডান-বাম না দেখে টান দিলে শাহেদুল ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান। এ সময় ল্যান্ড ক্রুজারটি পাশের ভুট্টা ক্ষেতে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই নিহত হন শাহেদ।

আলীকদম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিক উল্লাহ বলেন, ‘এই ঘটনায় চালক সুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়, গাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে হয় না। তবে নিহতের স্ত্রী চাইলে আদালতে মামলা করতে পারেন।’

এদিকে গাড়ির মালিক মোহাম্মদ নূর বলেন, ‘গাড়িটি ব্রেকফেল করে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। গাড়িতে তখন আমি কিংবা আমার ভাই মোহাম্মদ নবী কেউই ছিলাম না। আমি ছিলাম তখন ত্রিপুরা পাড়ায়। মোহাম্মদ নবী ছিল ঘটনাস্থল থেকে দূরে।’