মেঘনায় পুলিশ সদস্য নিখোঁজ

বাবার অপেক্ষায় শিশু মাহির



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর, বার্তা২৪.কম
স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে পুলিশ সদস্য মোশাররফ, ছবি: সংগৃহীত

স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে পুলিশ সদস্য মোশাররফ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সময় গড়িয়ে যাচ্ছে, শিশু মাহির বাবা আসছে না। আসবেই বা কিভাবে? তলিয়ে নিয়ে গেছে খরস্রোতা মেঘনা নদী। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি, কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত। এখনও পুলিশ সদস্য মোশাররফ হোসেনের খোঁজ মেলেনি। জেলেদের হামলায় মেঘনা নদীতে ডুবে যান এই পুলিশ সদস্য। সে চাঁদপুরের হাইমচর থানায় কর্মরত ছিলেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে হাইমচর উপজেলায় চরকোড়ালিয়া নামকস্থানে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেফতার করতে গেলে এই ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ মোশাররফ চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড থানার বারকুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা। গত কয়েক বছরই হাইমচর থানায় কর্মরত রয়েছেন।

তার একমাত্র সন্তান চার বছরের শিশু মাহির। স্ত্রী শামীমা আক্তার স্বামী মোশাররফের মৃতদেহ একবার দেখার সুযোগ পাবে কিনা সে নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। কাঁদছেন, শিশু মাহিরকে জড়িয়ে কাঁদছেন। কিন্তু দুরন্তপনা শিশু মাহির জানেনা তার বাবা আর ফিরবে কী ফিরবে না।

পুলিশ সদস্য মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী শামীমা আক্তারও পুলিশ সদস্য। স্বামী-স্ত্রী দুইজনেই গত দুই বছর একসাথেই চাকরি করছেন ওই হাইমচর থানায়। ছয় বছর পূর্বে তাদের বিয়ে হয়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল পর্যন্ত চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি, কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে তার সন্ধান পায়নি। থানা পুলিশ জানায়, রাতে মেঘনার পশ্চিম পাড়ে চরপোড়ালিয়া এলাকায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আটক করার জন্য ৪ পুলিশ সদস্য, ২ গ্রাম পুলিশ, ১জন কমিউনিটি পুলিশ সদস্য ও নৌকার মাঝিসহ অভিযান চালায়।

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা নিধনকারী মেঘনার পাড়ে থাকা সংঘবদ্ধ জেলেরা তাদেরকে আটক করা হবে সন্দেহে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ৫ রাউন্ড ফাঁকাগুলি করে। ওইসময় জেলেদের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন পুলিশ সদস্য মোশাররফ।

কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, রাতের বেলায় মতলব উত্তর মোহনপুর এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ জেলেরা এখানে জাটকা ধরে। তারা কমপক্ষে ৫০ নৌকা একত্রে এসে এখানে মাছ ধরেন। প্রশাসনের লোকজন অভিযান করতে গেলে চারদিক থেকে তারা হামলা করে। শুক্রবার রাতের ঘটনাটি হয়তো এমনটিই হয়েছে।

মোশারফের স্ত্রী শামীমা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলছেন, ‘আমার স্বামীকে দেখতে চাই। শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টায় অভিযানে যোগ দিতে বাসা থেকে বের হয়। রাত ২টার দিকে বাসায় খবর দেয়া হয় মোশাররফকে পাওয়া যাচ্ছে না।’

হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মুহসিন আলম জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও মোশাররফ নিখোঁজ হয়। তারপর ফায়ার সার্ভিস কোস্টগার্ডসহ নদীতে উদ্ধার অভিযান চালালেও এখনো মোশাররফকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

চাঁদপুর ফায়ার স্টেশনের ডেপুটি এ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর ফরিদ আহমেদ জানান, খবর পেয়ে রাত থেকেই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। কিন্তু বিকাল পর্যন্ত কোথাও পুলিশ সদস্যের হদিস পাওয়া যায়নি। শুধু তাই নয়, কোথায় নিখোঁজ হয়েছে সে স্থানটিও সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস বা কোস্টগার্ড।

আরও পড়ুন: জেলেদের হামলায় মেঘনায় পুলিশ সদস্য নিখোঁজ

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;