শাহরাস্তিতে সড়কে গাড়ি চললেই কেঁপে ওঠে যে স্কুলভবন

  • মনিরুজ্জামান বাবলু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার সূচীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ভবনটি এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ যে পাশের সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করলেই তা কেঁপে ওঠে! প্রায় সাত বছর আগে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। তারপরও ওই ভবনেই চলছে পাঠদান।

বিদ্যালয় সংলগ্ন উপজেলার প্রধান সড়ক। ওই সড়ক দিয়ে গাড়ি চললে কেঁপে ওঠে পুরো ভবন। গত ১০ বছরে সরকারে উন্নয়নের তেমন কোনো ছোঁয়া লাগেনি এই বিদ্যালয়ে। শ্রেণীকক্ষ সংকটে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত ভবনটিতে পাঠদান চলছে।

বিজ্ঞাপন

১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সূচীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়। বর্তমানে চারটি ভবন রয়েছে। দুইটি ভবনই পরিত্যক্ত। প্রধান ভবনটি বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে করা হয়। পরে সরকারি বরাদ্দে আরো একটি ভবন করা হয়। এখন এই দুইটি ভবন পরিত্যক্ত।

গত বছর বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ চারতলা বিশিষ্ট আরো একটি ভবনের কাজ হাতে নেয়। কিন্তু অর্থ সংকটে ওই ভবনের কাজটিও থমকে আছে।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/28/1556406272188.jpg

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিদ্যালয়ে এক হাজার ১৭৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ছাত্র সংখ্যা ৫১১ ও ছাত্রী ৬৬৫ জন। সেই তুলনায় শিক্ষক সংকটও রয়েছে। বিদ্যালয়ে এমপিওভুক্ত ১৭ জনসহ মোট শিক্ষক ২৬ জন রয়েছেন।

ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত তিনটি বিভাগে ভাগ করে মোট ১৫টি শ্রেণীকক্ষের প্রয়োজন। এছাড়া শিক্ষক মিলনায়তন, বিজ্ঞানাগার ও শেখ রাসেল কম্পিউটার সেন্টারসহ আরো কয়েকটি কক্ষের প্রয়োজন।

বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, সড়কে গাড়ি চললে কেঁপে ওঠে স্কুলের মূল ভবন। এই ভবনে ক্লাস করতে ভয় হয়। মাঝে মাঝে পলেস্তারা খসে পড়ে। ঝড়-বৃষ্টি হলে আরো বেশি ভয় লাগে। আমরা নতুন একটি ভবন চাই।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/28/1556406293385.jpg

বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. এটিএম সাইফুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। সেজন্য বিদ্যালয়ের মাল্টিমিডিয়া ক্লাস ও বিজ্ঞানাগার কাজ বন্ধ রেখেছি। বিভিন্ন অনুদান ও বিদ্যালয়ের আয় দিয়ে একটি ভবনের কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। এখন সরকারি বরাদ্দ নিয়ে আরো একটি দ্বিতল ভবন করা প্রয়োজন।’

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য প্রণব কুমার বলেন, ‘নতুন ভবন পেলে বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান বৃদ্ধি ও পাঠদানের সুবিধা হবে।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিব উল্ল্যাহ বলেন, ‘২০১৩ সালে পরিত্যক্ত ভবনে ক্লাস নিচ্ছি। তারপর নতুন ভবনের জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু নতুন ভবন হচ্ছে না। আমরা এই পুরাতন ভবন থেকে পরিত্রাণ চাই। কর্তৃপক্ষ যেন নতুন ভবন বরাদ্দ দেয়, সেজন্য সুদৃষ্টি কামনা করছি।’

শাহরাস্তি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আহছান উল্ল্যাহ বলেন, ‘নতুন ভবনের তলিকা হলে অবশ্যই সূচীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম থাকবে। ওই বিদ্যালয়ে নতুন ভবনের প্রয়োজন আছে।’