নুসরাত হত্যাকাণ্ড
জেল থেকেই নুসরাতকে হত্যার নির্দেশ দেয় সিরাজ
জেল থেকেই মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার নির্দেশ দেন মামলার প্রধান আসামি ও সোনাগাজী ইসলামীয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা।
হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকালে সাড়ে তিনটা থেকে রাত ৮টা ৪০ পর্যন্ত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন সিরাজ।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল সাংবাদিকদের জানান, মামলার প্রধান আসামি সিরাজ উদ দৌলা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তিনি জানিয়েছেন, জেল হাজত থেকে তিনি নুসরাতকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। জেলে নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীম তার সাথে দেখা করতে গেলে সে নুসরাতকে মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়ার জন্য বলে। কাজ না হলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে বলে।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শরাফ উদ্দিন আহমেদের আদালতে তুলে ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সিরাজ উদ দৌলাসহ ৯ জন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া জবানবন্দি দেয়া আসামিরা হলেন- নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের আহমেদ।
মামলার এজহারভুক্ত ৮ আসামিসহ এখন পর্যন্ত ২১জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও পিবিআই।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ নুসরাতের মা শিরীনা আক্তার মামলা করার পরদিন সিরাজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই মামলা প্রত্যাহার না করায় ৬ এপ্রিল পরীক্ষার হল থেকে মাদরাসা একটি ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে আগুন দেয় বোরকা পরা কয়েকজন। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত।