গোপালগঞ্জে নেই মানসম্মত হোটেল-রেস্টুরেন্ট, বিপাকে পর্যটক
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জকে এখন বলা হয় রাজনীতির তীর্থস্থান। শুধু বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারীরাই নন, দেশ-বিদেশের অনেকেই আসেন বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। কিন্তু টুঙ্গিপাড়াসহ গোপালগঞ্জে পর্যাপ্ত ও ভালোমানের আবাসিক হোটেল না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পরছে এখানে আসা রাজনীতিবিদ ও পর্যটকরা। শুধু আবাসিক হোটেলই নয়, ভালো মানের রেস্টুরেন্ট না থাকায় অনেকেই চলে যান পার্শ্ববর্তী খুলনা জেলায়।
বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এখন রাজনৈতিক পর্যটনের এক আকর্ষণীয় এলাকা। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসসহ বিশেষ রাষ্ট্রীয় দিনগুলোতে শ্রদ্ধা জানাতে আসে হাজারো মানুষ। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা বছরজুড়ে আসেন বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে। কিন্তু টুঙ্গিপাড়াসহ গোপালগঞ্জে পর্যাপ্ত ও ভালো মানের আবাসিক হোটেল না থাকায় ভোগান্তিতে পরতে হয় এসব নেতাকর্মী ও পর্যটকদের।
স্থানীয়রা জানান, প্রধানমন্ত্রী যেহেতু প্রতিবছরই এখানে আসেন, তার সঙ্গে অনেক সরকারি কর্মকর্তা ও নেতাকর্মীরাও আসেন। তখন আবাসিক সংকট বেশি দেখা দেয়। এছাড়াও বছরজুড়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও পর্যটকরা এখানে আসেন। তারাও এ ধরনের সমস্যায় ভোগেন।
ভালো মানের হোটেল তৈরির বিষয়ে মৃণাল রায় নামে এক স্থানীয় উদ্যোক্তা বলেন, ‘আবাসিক হোটেল তৈরির জন্য ব্যাংক থেকে আর্থিক সহায়তা দরকার। আমরা এক-দুই বছরের মধ্যেই ভালোমানের হোটেল তৈরির চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে এনআরবিসি ব্যাংক, গোপালগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, যদি ভালো উদ্যোক্তা পাওয়া যায় এবং আবাসন খাতে পলিসি গাইডলাইনে যদি সাপোর্ট করে তাহলে এনআরবিসি ব্যাংক ফাইনান্স করতে দ্বিধা করবে না।
এদিকে গোপালগঞ্জে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম থাকা সত্ত্বেও ভালো মানের হোটেল ও রেস্টুরেন্টের অভাবে খেলার আয়োজন করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমিও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ও রাষ্ট্রপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, অনতিবিলম্বে সুন্দর আবাসন ব্যবস্থা করা দরকার। আর খাবারের মান ঠিক রাখতে নতুনভাবে রেস্টুরেন্ট মালিকদের সঙ্গে বসা হবে।’
মূলত বঙ্গবন্ধুর সমাধিকে ঘিরে এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এখানে আসা রাজনীতিবিদ ও পর্যটকদের জন্য মানসম্পন্ন হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবি গোপালগঞ্জবাসীর।